সংক্ষিপ্ত
- ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি স্মরণ অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মমতা
- 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুনেই কোনও বক্তব্যই রাখেননি মমতা
- ' আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না', মোদীকে সাফ জানান তিনি
- এই ঘটনায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা অনিল ভিজে
মমতাকে তোপ হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর। ভিক্টোরিয়ায় 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুনেই ক্ষোভের চোটে নেতাজী জন্মদিনে কোনও বক্তব্যই রাখেননি মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাফ জানালেন, আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না। প্রতিবাদ জানিয়ে 'জয়হিন্দ' বলে সিটে বসে যান মমতা। এদিকে মমতার উঠে যাওয়াকে কেন্দ্র ব্যপক হইচই রাজ্য-রাজনীতিতে। আর এই ঘটনায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অনিল ভিজ।
হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অনিল ভিজ মমতার উদ্দেশ্য তোপ দেগে জানিয়েছেন, 'মমতাকে জয় শ্রীরাম বলা মানে ষাড়কে লাল কাপড় দেখানো। প্রসঙ্গত রবিবার ভিক্টোরিয়ায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের পরেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মঞ্চে ওঠার সময় দর্শকাসন থেকে শুনতে পাওয়া যায়, জয় শ্রীরাম ধ্বনি। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা। তিনি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা রাখা উচিত। আমি তো ঋণী যে, নেতাজির জন্মদিনে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।' এরপর আর কোনও কথা না বলে কোনও কথা না বলে 'জয়হিন্দ' বলে সিটে বসে পড়েন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
তবে মমতার এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখে স্বাভাবিকভাবেই সকলেই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বরাবরই একটি প্রচণ্ড ঐতিহ্যশালী এবং পরিমিত নিয়ম-শৃঙ্খলার ঘেরাটোপেই বন্দি থাকে। এখানকার অনুষ্ঠানেও বজায় থাকে সেই গাম্ভীর্য। কিন্তু, নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে যে তাল কেটে দিয়েছিল জয়শ্রীরাম ধ্বনি। আর সেই বেসুরো তালকে আরও খান-খান করে ভেঙে দিচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ। অনেকেই মনে করেছিলেন জয়শ্রীরামের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়াটা হয়তো আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। তবে, সেটা আর হয়নি। হয়তো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গাম্ভীর্যময় পরিবেশ এবং ঐতিহ্যের কথা ভেবে জয় শ্রীরামের ভক্তরা বেশিদূর এগোনোর সাহস দেখাননি।