'গণতন্ত্রে হিংসার জায়গা নেই' নাম না করে মমতাকে নিশানা এবং শীতলকুচি কাণ্ডে শোকপ্রকাশ রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এদের মধ্য়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মধ্য়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই মমতা কেন্দ্রীবাহিনীকে নিশানা করে বলেছেন, 'যত লোক গুলি করেছে, যতগুলো গুলি করেছে, সব কিন্তু বুকের উপরে করেছে। ওরা গুলি স্প্রে করেছে। গণতন্ত্রের হত্যা মানব না।' আর এদিন নাম না করেই মমতাকে পাল্টা নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড় টুইটে লিখেছেন, কোচবিহারের ঘটনা খুবই দুঃখ্যজনক। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। সকলের হিংসার নিন্দা করা উচিত। অশান্তি বন্ধ করতে সকলকেই উদ্য়োগ নেওয়া প্রয়োজন। এরপরেই নাম না করে মমতাকে তোপ দেগে রাজ্যপাল লিখেছেন, শাসকের নিজেদের রাজধর্ম পালন করা উচিত। সরকারি কাজে নিযুক্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও আধাসেনার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।' অপরদিকে, এদিন শহরে অমিত শাহ এসেও একপ্রস্ত্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। শাহ এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করেই সাফ জানিয়েছেন, শীতলকুচির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা দিদি। এবং কেন্দ্রীয়বাহিনীর এটা ভূল নয়, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাইফেল লুটের চেষ্টা করা হয় এবং আত্মরক্ষায় গুলি চালায় বাহিনী', বলে যুক্তিও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'সমস্যা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নয়-আপনার হিংসার রাজনীতিতে', কৃষ্ণনগরে মোদীর নিশানায় মমতা
প্রসঙ্গত, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাই কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না। চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারির পর বাধ্য হয়ে শীতলকুচি সফর বাতিল করেন মমতা। কিন্তু এদিন উত্তরবঙ্গে গিয়ে ফের কমিশন-কেন্দ্রীয়বাহিনী-মোদী-শাহ কাউকেই নিশানা করতে ছাড়েননি। ভোট দিতে এসেছিল আর বাহিনী ওদেরকে নির্বিচারে গুলি করল। গুলি এবং মানুষ খুনের তথ্য লোকাতেই এই সব আইন।' আর এরপরই পাল্টা তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল।