২৪ ঘণ্টা পরেও রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে শীতকুচি। রবিবার মমতাও বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন উত্তরবঙ্গ থেকে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হন তেমনই নদিয়ার শান্তিপুরের রোড শো থেকে অমিত শাহও শীতলকুচির ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন শীতলকুচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন।
এদিন অমিত শাহ পাল্টা আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, 'শীতলকুচিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দিদি ৪ জনের মৃত্যুর কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শীতলকুচিতেও ভোট সন্ত্রাসের মারা গেছেন রাজবংশী যুবক আনন্দ বর্মন। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। ভোট বানচাল করতেই এই কাজ করা হয়েছিল। অথচ নতুন ভোটার আনন্দ বর্মনের এই মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটিও মন্তব্য করেননি বা দুঃখ প্রকাশ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দ রাজবাংশী রাজবংশী সম্প্রদায়ের যুবক, দিদির ভোট ব্যাঙ্ক নয়।' নদিয়া থেকে এমনই অভিযোগ করেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ আরও বলেন কোচবিহারে ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু কোনও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারবে সমস্তরকম রাজনৈতিক ও ভোট সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বাকি চার দফা ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তারজন্য সবকটি দলের কাছেই আবেদন জানিয়েছেন অমিত শাহ।
শীতলকুচিতে ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চলায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। আর এই ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এই রাজ্যে যড়যন্ত্রের জা বুলনেছ। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।