'মেলেনি ন্যূনতম সরকারি পরিষেবা', ভোট বয়কট করলেন গ্রামের মহিলারা

  • সুযোগ পেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়ে ভোট বয়কট
  • এগিয়ে এলেন গোটা গ্রামের মহিলারা-পুরুষেরাও
  • এদিন সকলে মিলে একসঙ্গে ভোট বয়কট করলেন 
  • এলাকায় পরিষেবার চরম অভাব আছে বলে অভিযোগ 
     

Ritam Talukder | Published : Apr 26, 2021 10:53 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 01:18 PM IST


ক্ষোভ জমছিল বহুদিন ধরেই। শেষ পর্যন্তত মোক্ষম সুযোগ পেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়ে ভোট বয়কট করলেও গোটা গ্রামের মহিলারা, এগিয়ে এলেন পুরুষেরাও। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পর্যন্ত বারবার দরবার করেও মেলেনি ন্যূনতম সরকারি আলো,বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা। তাই আর কোনরকম অনুনয়-বিনয় না করে সরাসরি সোমবার গ্রামের মহিলারা এগিয়ে এসে সকলে মিলে একসঙ্গে ভোট বয়কট করলেন।

আরও পড়ুন, 'বাংলার মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা', সপ্তম দফার দিনে ভার্চুয়ালি সভায় বিস্ফোরক নাড্ডা 

 লালগোলা বিধানসভার অন্তর্গত পাইকপাড়া অঞ্চলের হরিপুর বালিপাড়ার গ্রামের কয়েকশো সাধারণ ভোটার সকলে একযোগে এদিন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভোট এলেই প্রতিবার নিয়ম করে রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের দুয়ারে এসে হাজির হন প্রতিশ্রুতি নিয়ে।অথচ সীমান্তবর্তী লালগোলার শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবার চরম অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি সম্প্রতি গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তার ধারে ন্যূনতম সোলার লাইট টুকু পর্যন্ত লাগানো হয়নি। ফলে রাতবিরেতে মুমূর্ষু রোগী থেকে প্রসূতি সকলকেই প্রাণ হাতে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে হয়। এমনকি অনেককেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে।সামান্য সন্ধ্যা নামলেই গোটা হরিপুর এলাকা যেন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে।এখানে পরিস্থিতি নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়াতে বারংবার জানানোর পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করেননি বলেই এদিন অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন, প্রার্থী না হতে না পারায় চরম মানসিক যন্ত্রনা, আজ নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিনেই মৃত্যু TMC নেতার 


 এদিন এই ব্যাপারে ভোট বয়কট করে স্থানীয় গ্রামবাসী মুস্তাক শেখ বলেন,'আমরা বহুবার শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খেতে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া কে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি।উনি একবারের জন্যেও আমাদের সামান্যতম সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেননি। তাই আজ বাধ্য হয়ে আমরা কয়েকশো গ্রামের মহিলা ও পুরুষ মিলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

Share this article
click me!