মালদায় ভোলবদল, রাতারাতি ক্ষমা চেয়ে প্রার্থীর হয়ে ঝাঁপানোর প্রতিশ্রুতি বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের

  • প্রার্থীর পাশেই দাঁড়ালেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা
  • শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব
  • রিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল
  • হরিশ্চন্দ্রপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মতিবুর রহমানকে

Asianet News Bangla | Published : Mar 28, 2021 10:28 AM IST / Updated: Mar 28 2021, 04:37 PM IST

তনুজ জৈন, মালদহ- শেষমেশ প্রার্থীর পাশেই দাঁড়ালেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব! কর্মীদের একাংশের প্ররোচনায় পা দিয়ে তাঁরা দলবিরোধী কথাবার্তা বলেছিলেন বলেও দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে নেতৃত্বের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল। একই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থীর জন্য এবার তারা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- নির্বাচনের মুখে সন্ত্রাস চালানোর ছক বানচাল, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার ৫ সশস্ত্র দুষ্কৃতী 

এই ভোলবদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এলাকার নেতারা বহিরাগত প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটের মুখে শাসকদলকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর কাণ্ডে নেতাদের ভোলবদলের এই ঘটনা ঘিরে দলের অন্দরেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- প্রথম দফায় ৩০এ ২৬ আসন পাচ্ছে বিজেপি, দিল্লি থেকে রাজ্যের মহিলাদের ধন্যবাদ অমিত শাহর. 

গত ১৮ মার্চ বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মতিবুর রহমানকে। তিনি দিল্লিতে ঠিকাদারি করেন। এলাকায় জনসংযোগ নেই, এমন একজনকে কেন প্রার্থী করা হল তা নিয়ে চরম বিক্ষোভ শুরু হয় হরিশ্চন্দ্রপুরে। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিসে। এমনকি টাকা নিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে বলেও স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনার পর হরিশ্চন্দ্রপুরের কয়েকজন নেতাকে শো-কজও করে দল। তারপরেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন রূপেশ।

 হরিশ্চন্দ্রপুর ১ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেন, “জীবন বিপন্ন করে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর কিছু কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল আমাকে ও জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়াকে। বড় কিছু যাতে না ঘটে ও দলের স্বার্থে ওই কর্মীদের সঙ্গ দিয়ে নেতৃত্ব, সাংসদকে কটাক্ষ করতে হয়েছিল। পরে নেতৃত্বের কাছে সব জেনে বুঝতে পারি ভুল হয়েছে! সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদী। প্রতীক পদ্মফুল। ফলে প্রার্থী নয়, প্রতীকটাই আমাদের কাছে বড়।”

 

 

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “টাকা দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে বলে যারা কয়েকদিন আগে চেয়ার ভাঙল, তারাই এখন উল্টো গাইছে। মনে হচ্ছে ওরাও টাকার ভাগ পেয়ে এমন ভোলবদল করেছে। ওরা ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই ব্যস্ত। এখানে বিজেপির সংগঠন নেই। কেউ প্রার্থী হতে না চাওয়ায় এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি বাংলা ভাষাটাও ঠিকভাবে বলতে পারেন না। মানুষ ভূমিপুত্রকে তজমুল হোসেনকেই ভোট দেবেন।”

Share this article
click me!