কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত থাকল দিল্লি। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজধানীর রাজপথ। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস। ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় এক কৃষকের মৃত্যু। শুধু তাই নয়, লালকেল্লায় গিয়ে জাতীয় পতাকা নামিয়ে কৃষকদের আন্দোলনের পতাকা লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন রাজনৈতিক নেতারা। রাজধানীর এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-আর আলোচনা নয় 'বেসুরো'দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে শোকজ করল তৃণমূল
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিনভর উত্তেজনার ছবি দেখল গোটা দেশ। এই অবস্থা মোদী সরকারের উদাসীনতা ও অসংবেদনশীলতার ফল বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ''দিল্লির রাস্তায় উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনাগুলির দ্বারা গভীরভাবে বিরক্ত ও চিন্তিত। আমাদের কৃষক ভাই বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব এবং উদাসীনতাকেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে''।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট, রাজ্যে আসছে ১০০০ কোম্পানির বাহিনী
ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ''এই আইনগুলি কৃষকদের আস্থা বা পরামর্শ না নিয়েই পাস করা হয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে এর প্রতিবাদ চলছে। গত দুই মাস ধরে দিল্লির কাছে অস্থায়ী শিবির করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। আর এত কিছুর পরও বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনাতেই উদাসীন কেন্দ্রের সরকার''। প্রসঙ্গত, বরাবরই কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রজাতন্ত্র দিবসে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।