সংক্ষিপ্ত
- দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ বিধায়কের
- কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস
- প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ
- প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা?
প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী। তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা দলের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, ভোট কৌশুলী প্রশান্ত কিশোর গিয়েও তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু শেষমেষ নিজেদের অবস্থানে অনড়ই থেকেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় দলের বিরুদ্ধে বেসুরোদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ করা শুরু করল তৃণমূল।
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর, দলের বিরুদ্ধে বেসুরো হয়েছিলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। সেই সময় কোনও আলোচনাতে না গিয়ে ওই বিধায়ককে সরাসরি বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। এই অবস্থায় দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করায় উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে শোকজের নোটিস পাঠিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। জবাব তলব করা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে। পাশাপাশি, দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্যে করলে দল যে আগামী দিনে ব্যবস্থা নেবে, সে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে প্রবীর ঘোষালকে।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন, মমতাকে 'বোন' কটাক্ষ শুভেন্দুর
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সাংবাদিক বৈঠক করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জেলার একটি কলেজ উদ্বোধন করতে গিয়ে জটিলতা আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ''আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা পরিস্থিতিটি জানিয়েছিলাম। উনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। আমার সামনেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ফোন করে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও কিছুই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি''। মুখ্যমন্ত্রীর কথা কেউ শোনে না বলেও অভিযোগ করেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস।