'বিক্ষুব্ধ' গৌতম দেবকে সরাসরি ফোন দলনেত্রী মমতার, তৃণমূলে শুরু ক্ষোভ প্রশমন পালা

Published : Jan 16, 2021, 07:14 PM ISTUpdated : Jan 16, 2021, 07:18 PM IST
'বিক্ষুব্ধ' গৌতম দেবকে সরাসরি ফোন দলনেত্রী মমতার, তৃণমূলে শুরু ক্ষোভ প্রশমন পালা

সংক্ষিপ্ত

রোজই কেউ না কেউ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবার নেতা-নেত্রীদের ক্ষোভ প্রশমণে উদ্যোগী তৃণমূল গৌতম দেবকে সরাসরি ফোন করলেন মমতা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীরের ঘোষালরাও পেলেন ফোন  

একমাত্র তুলনা চলতে পারে বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে। বাংলা সিরিয়ালে যেমন প্রতিদিনই পরিবার থেকেই নিত্যনতুন শত্রু উপস্থিত হয় নায়ক-নায়িকার মিলনের মধ্যে, তৃণমূলেও রোজই বিক্ষুদ্ধ ও বেসুরো নেতা-নেত্রীদের তালিকায় রোজই নিত্যনতুন নাম শোনা যাচ্ছে। প্রথমদিকে সেইসব ক্ষোভকে বিশেষ পাত্তা না দিলেও, এবার বানের জল আটকাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুরু হয়েছে ক্ষোভ প্রশমন পালা। আর এই পালার সাম্প্রতিকতম সংযোজন শনিবার সকালে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব-কে সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফোন।

শুক্রবারই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন গৌতম দেব। ১০০টির বেশি চিঠি দেওয়ার পরও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন সেখানকার বিধায়ক। শুক্রবার সারাদিন শতাব্দী এক্সপ্রেস আটকাতে ব্যস্ত থাকলেও, তার পরদিনই পর্যটনমন্ত্রীকে নিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর দলনেত্রীকে তাঁর ক্ষোভের কথা জানান গৌতম দেব। তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-কে নিয়ে বা দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং ও উত্তরবঙ্গের রাজনীতি নিয়েও দলনেত্রীর সঙ্গে কথা হয় গৌতমের।

পর্যটনমন্ত্রী নিজেও এদিন বিকালে জানিয়েছেন, দলের প্রতি তাঁর কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই। তাঁর মন্তব্যের 'অপব্যাখ্যা' করে অহেতুক ও ভিত্তিহীন জল্পনা-কল্পনা তৈরি করছে সংবাদমাধ্যম, এমনটাই তাঁর দাবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করার আগে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও এদিন গৌতম দেবের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

শুধু, গৌতম দেবের ক্ষোভ প্রশমনই নয়, এদিনই অসন্তুষ্ট আরও দুই তৃণমূল নেতা - হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীরের ঘোষালের ক্ষোভের আগুনেও জল ছেটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন বিশিষ্ট তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আর উত্তরপাড়ার বিধায়কের ক্ষোভের কথা শোনার দায়িত্ব ছিল পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-এর উপর। তাতে কতটা কাজ হয়েছে তা আগামী কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষোভের আগুনও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু, তিনি দলেই আছেন, সৌগত রায় এমন কথা জানানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাল্টি খেয়েছিলেন শুভেন্দু। তাই আগামী কয়েকদিনে রাজ্য রাজনীতিতে আরও কিছু শিবির বদলের ঘটনা দেখা যেতেই পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

২০ ডিসেম্বর বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, কী কী কর্মসূচি থাকছে? দেখুন কী বলছেন শুভেন্দু
৩৫ বছরের যুবকের সঙ্গে নাবলিকার বিয়ের তোড়জোড়, পরিবারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে থানায় কনে