গলায় কালো ওড়না আর হাতে মোমবাতি, শীতলকুচির প্রতিবাদে বর্ধমানের রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

  • শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিবাদ 
  • বর্ধমানের রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
  • হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন তিনি 
  • ভিড়ে ঠাসা ছিল রোডশো 

Asianet News Bangla | Published : Apr 11, 2021 2:56 PM IST

দিনের শুরুটা যেভাবে করেছিলেন ঠিক সেভাবেই দিনের শেষটা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে শীতলকুচির ঘটনাকেই ইস্যু করেছিলেন তিনি। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে একহাত নেনে তৃণমূল নেত্রী। সেই রেশই ধরে রাখলেন বর্ধমানের রোডশোতে। রবিবার বিকেলে ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান শহরে হুইল চেয়ারে বসেই রোডশো করেন। শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদে এদিন তিনি কালো স্কার্ফ পরেছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি মোমবাতিও। 

ষষ্ঠ দফায় ভোট, তার আগেই 'অস্ত্রাগার' ভাটপাড়ায় উদ্ধার প্রচুর গুলি ও বোমা ...

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোড শো ঘিরে  দলীয় কর্মী সমর্থক ও স্থানীয়দের মধ্যে উৎসহ ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন বর্ধমান শহর মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত উষ্ণ অর্ভ্যর্থনা জানিয়েছে। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে হুইল চেয়ারই তাঁর সঙ্গী। এদিন ভোট প্রচারে হুইল চেয়ারে বসেই রোড শো করেন তিনি। একটা সময় বামেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল বর্ধমান। কিন্তু এদিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উৎসহ অন্য কথা বলছে। ভিড়ে ঠাসা ছিল মমতার রোডশো। 

১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের সময় উত্তপ্ত হয়ে পড়ে শীতলকুচি। সেই সময় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে চার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় বলে দাবি করে দলের নেতার। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল থেকেই সরব ছিলেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। আগে থেকেই স্থির ছিল এদিন অর্থাৎ রবিবার গোটা রাজ্যেই শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদ দেখান হবে। সেইমত এদিন তৃণমূল নেত্রী সকাল থেকেই কালো স্কার্ফ করে ছিলেন। কালো স্কার্ফ নিয়েই তিনি শিলিগুলিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেই পোষাকেই তাঁকে এদিন দেখা গেল বর্ধমানে। শীলতকুচির ঘটনার প্রতিবাদে এদিন তিনি মোমবাতি হাতে রোডশো করেন। করোনাবিধি মেনেই মাস্ক পরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

কোথা থেকে এল দুষ্টু ছেলেরা, শীতলকুচি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা সৌগত-সুজনের ...

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে নিশানা করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি নেতাদের প্ররোচনাতেই গুলি চালিয়েছিল। ভোটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন আপাতত শীতলকুচিতে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা নিয়ে রীতিমত সরব হন মমতা। সাংবাদিক সম্মেলনে বসেই ভিডিও কলের মাধ্যমে শীলতকুচির নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

শীতকুচিতে পঞ্চম ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে চুপ কেন মমতা, ভোটের রাজনীতি করছেন বললেন অমিত শাহ ...

 

Share this article
click me!