বাংলা বিরোধী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে। নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে বসেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার হুংকার দেন তৃণমূল নেত্রী।হুইল চেয়ারে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধিমূর্তি থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন। তৃণমূল কংগ্রসের উদ্যোগে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও। এই মিছিলে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ধরে তার জন্য প্রথম থেকেই পুলিশ কর্মীরা ছিল তৎপর। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পাওয়ার পর রবিবারই তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিছিলের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বার্তা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামের ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন এখনও তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন। এখনও প্রবল যন্ত্রণা রয়েছে। কিন্তু মানুষের দুঃখ তাঁকে এখনও অনেক বেশি আহত করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জমি রক্ষা করার লড়াইয়ে সামিল গয়ে অনেকেই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণে তাঁদের হয় আর আপোষ করা হবে না।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক টুইট বার্তায় উঠে এসেছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা। তিনি বলেন নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছিল ১৪ জন। পুলিশের গুলিতে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। অনেকের দেহ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। ৬৬ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি নন্দীগ্রামকে ঐতিহাসিক স্থান হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন এখানে থাকা আর শহিদ পরিবারের সঙ্গে বঙ্গোবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা একই বিষয়।
বুধবার নন্দীগ্রামের ভোট প্রচারের সময় পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভিড়ের মধ্য়ে তিন থেকে চার জন তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল। তাতেই এই বিপত্তি। গোটা বিষয়টিকে চক্রান্ত হিসেবেও দাবি করা হয়েছিল। যদিও এদিন নির্বাচন কমিশনে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবেই বর্ণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পত ছিল না।