অনুব্রতর পাশে মমতা, 'নজরবন্দি' করে রাখতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ

  • বীরভূমে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক 
  • অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা 
  • প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ 
  • দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠু ভোট করতে নির্দেশ 

Asianet News Bangla | Published : Apr 24, 2021 4:36 PM IST

নির্বাচন কমিশনের শোকজ নোটিশ। আয়কর দফতরের নোটিশের পর বীরভূমে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতকে নজরবন্দি করে রাখলে আদালতে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। উস্কানি মূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের ওপর ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞ জারি করেছিল। সেই নির্দেশকে কটাক্ষ করে অনুব্রত মণ্ডল কমিশনকে 'অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র' বলেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন শোকজ করেছিল অনুব্রতকে। তারপরই শনিবার বীরভূমে গিয়ে বোলপুরের গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তোপ দাগেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

অক্সিজেন সরবরাহ বাধা দিলে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে, ভারতে করোনা সুনামি চলছে বলেও মন্তব্য আদালতের ...

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন 'কেষ্টার ওপর ওদের অনেক রাগ। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে কেষ্টাকে নজরবব্দি করে রাখে। আমি বলেছিল এবার যদি সেরকম কিছু করে তুমি কোর্টে যাবে। নিরাপত্তা নেবে। এভাবে নজরবন্দি করে রাখা যায় না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কেষ্টা বলেই ডাকেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর মোবাইল ফোন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা সেই কারণে এবার আগে থেকেই সতর্ক করলেন মমতা। 

পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের নথি হাতিয়ার মমতার, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুংকার ...
হাইকোর্টের নির্দেশ এবং কমিশনের গুঁতোয় শাসক বিরোধী সব দল বড় জনসভা, মিছিল বন্ধ করে দিয়েছে। শাসক তৃণমূল সাতটা সভা বাতিল করেছে। বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ফলে এদিন বোলপুরের গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে একটি ছোট্ট সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সহ বীরভূম জেলার ১১ টি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীরা। সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভারতের নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন।

কোভিশিল্ডের দাম নিয়ে বিতর্কে সেরাম, পিঠ বাঁচাতে মুখ খুলল সংস্থা ...
কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “ভোট শুরুর আগে মেশিন দুবার অফ অন করে নেবেন। তা না হলে অমিত শা বিজেপির ভোট ভরে রাখবে। মেশিন খারাপ হলে নতুন মেশিন আসা পর্যন্ত ভোটারদের অপেক্ষা করতে বলবেন”। শীতলকুচি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বিজেপিতে আমদের কিছু লোকজন রয়েছে। তারা আমাকে বিজেপির গোপন তথ্য সরবরাহ করে। কমিশনের সোস্যাল মিডিয়ার চ্যাট আমার কাছে চলে এসেছে। আমার কাছে সব তথ্য রয়েছে। কোন পুলিশ অফিসার সাধারণ মানুষের উপর হঠাৎ করে পিছন থেকে গুলি করেছে, কার নির্দেশে করেছে। সব আমি দেখব। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে আমার কাছে। আমিও সিআইডি দিয়ে তদন্ত করবো ভোট শেষ হলে। নির্বাচন কমিশনের কথা আর চলেবে না”।

মমতা অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করে ২৯৪ টি আসনের মধ্য ৭-৮ টি আসন বিজেপির জন্য করতে পারবে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ৭০-৮০ সিট পাবে। আর দুটো বাম-কংগ্রেস ২০-২৫ টি পাবে। এবার করোনার পরিস্থিতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমদেরকে”।এদিন বোলপুরের সভা সেরে তারাপীঠে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মা তারার পুজো দেন। হুইল চেয়ারে বসেই মন্দির চত্বরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণা দেন পুরোহিতদের। এরপরেই পরেই হেলিকপ্টারে উড়ে যান।

Share this article
click me!