সংক্ষিপ্ত

  • পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের নথি রয়েছে 
  • বীরভূমের সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন মমতা 
  • নির্বাচন কমিশনকে চড়া সুরেই নিশানা 
  • পক্ষপাত মুক্ত ভোটের দাবিতে সরব 
     

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রধান দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলই ভোট প্রচারে কিছুটা হলেও খান্ত দিয়েছে। দুই দলই শেষ দুদফায় ভার্চুয়াল প্রচারের ওপরে জোর দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি তৃণমূল সুপ্রিমো শনিবার বীরভূমে ১১জন প্রার্থীকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর সেখানেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, চলতি বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে মোটেও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। তাঁর কাছে পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের নথি রয়েছে। আর তা নিয়ে নির্বাচনের পর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যের অভিযোগ করে বলেন, কমিশনের অঙ্গুলিহেলনেই তাঁর দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি বলেন ভোটের আগের দিন রাতে কমিশনের নির্দেশের তৃণমূলের একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজ্যে কর্মরত কিছু প্রশাসনিক অধিকারিকও তাদের তাঁবেদারি করছেন। যা করা উচিৎ নয় বলেএ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন আগেভাগেও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করে সবকিছু পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই ভবিষ্যতে পক্ষপাত মুক্ত ভোট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন ২০১৬ সাল থেকেই এজাতীয় কর্যকলাপ তিনি সহ্য করেছেন। দেশে আগামী দিনে কী ভাবে নির্বাচন করা যায় তাও দলের পক্ষ থেকে দেখে নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন রাজধর্ম পালন করতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। 

বীরভূমের সাংবাদিক সম্মেলনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, কেন্দ্কীয় বাহিনীকে বলা হচ্ছে গুলি চালিয়ে দাও। নন্দীগ্রামের পুরো ঘটনা না দখতে তাঁর চোখ খুলত না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি রাজ্যের প্রাশাসনিক আধিকারিকদের বলেছেন, এখন থেকেই সতর্ক হন। কারা কারা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সেই সব খবর তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। তারপরই তিনি বলেন, এখন তিনি কিছুই বললেন না। ভোটের পরে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এইভাবে ৭-১০টি আসন পাওয়া যাবে। কিন্তু কখনই ৭০টার বেশি আসন পাওয়া যায় না। এদনও ৮ দফায় নির্বাচন নিয়ে কমিশনকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, বড় জনসভা রোড শো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ৮ দফায় নির্বাচন হবে। কেন এমন হবে? মমতার কথা শুধুমাত্র বাংলা দখল করতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশে অষুধ নিয়ে। পরিকল্পনা ছাড়াই ওষুধ অক্সিজেন বাইরে পাঠান হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।