চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজনৈতিক হিংসা আর হানাহানিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লক সর্বদাই উত্তপ্ত। বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। এরপরেই এদিন চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এলেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন, 'বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করছে তৃণমূল সরকার', বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট BJP-র
রাজনৈতিক হিংসার বলিও হন বেশ কয়েকজন মানুষ। অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। জেলা বিজেপি থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এবং রাজ্য বিজেপি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস আর অভিযোগ তোলা হয়।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পর এবার চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এলেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি গ্রামে কুলবির সিং এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন। মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে ছিলেন চোপড়া থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও।
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগের মুখে, 'মাস্টারমাইন্ড' PK
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার দিন থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। অভিযোগ চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হামিদুল রহমান জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের কর্মীরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন লাগানো সহ তাদের উপর ক্রমাগত হামলা চালায়। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সরব হন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও অভিযোগ জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার চোপড়ার সন্ত্রাস কবলিত ঘিরনিগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি গ্রামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী দীপঙ্কর শর্মার বাড়িতে যান। পরিবারের লোকেদের সাথে ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে কথাবার্তাও বলেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা সরাসরি তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানান। এরপর কুলবির সিংয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের দল আরও কয়েকটি গ্রামের ঘুরে সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।