আক্রমণের সফট টার্গেট মহিলা ভোটাররা। ফতোয়া জারি থেকে চরম মারধর বাদ গেল না কোন কিছুই। শুরুতে সব ঠিক থাকলেও শেষের দিকে রীতিমতো উলটপালট হয়ে গেল সীমান্তের কান্দি মহকুমার অন্তর্গত বড়ঞা ও কান্দি বিধানসভার একাধিক এলাকা।
আরও পড়ুন, 'শীতলকুচি করে দেব', ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয়বাহিনী, CRPF-র আইজিকে রিপোর্ট তলব কমিশনের
চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যেখানে রেহাই পেল না গ্রামের গৃহবধূরাও। রীতিমতো তাদের মারধর থেকে হেনস্থা সকল কিছুই সহ্য করতে হলো শেষ বেলায়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৬৭ বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের মজলিসপু এলাকায়। মহিলা ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেবাদ অভিযোগ উঠল কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। রীতিমতো তাদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় ফতোয়া জারি করা হয় শাসক দলের স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পক্ষ থেকে বলেই অভিযোগ। এক মহিলা ভোটার সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন,মজলিসপুর ২ নম্বর বুথে ভোট দিতে যাই তখন কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয় । বলে আপনারা কেউ ভোট দিতে যেতে পারবেন না। এরই জেরে দুই পক্ষে মধে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।পড়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশালদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকাজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'পার্টি অফিসে ঢুকে খুন', ভোটের মাঝে দুষ্কৃতি ঠেকানোই বড় চ্যালেঞ্জ মুর্শিদাবাদে
এখানেই শেষ নয় কান্দি বিধানসভার ১৮৪নম্বর বুথ ছাতিনাকান্দিতে ভোট স্বামী-স্ত্রী বাইকে করে কার্তিক সাহা ও তাঁর স্ত্রী কে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের পথ আটকে লোহার রড, কাঠ ,বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায়। জখম হন কার্তিক বাবুর স্ত্রী। সব মিলিয়ে থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায়।