নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিনে নস্টালজিক দক্ষিণ দিনাজপুর। নেতাজির অন্যতম কিছু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর এই বালুঘাটেই। শনিবার বালুরঘাটের হিলির ত্রিমোহিনীতে নেতাজী জন্মদিন উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়েছে। নেতাজিকে নিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানালেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার বিশেষ সাক্ষাতকারে দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির সভাপতি তুহিনশুভ্র মন্ডল।
আরও পড়ুন, 'পরাক্রম' না করে 'দেশনায়ক দিবস' পালনে রাজ্য, মমতার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল
'চ্য়াটার্জী বাড়ি' জুড়ে নেতাজি-নস্টালজিয়া
১৯২৮ সালে হিলি থেকে প্রতাপ চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু 'চ্য়াটার্জী বাড়ি'তে এসে রাত্রিযাপন করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী শরৎ রঞ্জন চট্টোপাধ্য়ায়ের নামেই এই 'চ্য়াটার্জী বাড়ি'। যার সেসময় অবিভক্ত বাংলায় স্বাধীনতা আনার পিছনে অজস্র অবদান রয়েছে। এদিকে এই বাড়িটি বহুদিন ধরেই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে ছিল। বাড়িটি সংষ্কারে কোনও বিন্দুমাত্র উৎসাহ দেখায়নি প্রশাসন। এদিকে নেতাজির স্মৃতি জড়িত এই 'চ্য়াটার্জী বাড়ি'র উপরেই নজর ছিল এলাকার প্রমোটারদের। শেষ অবধি বাড়িটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে বহুতল বানানোর চেষ্টায় রয়েছে প্রোমোটাররা। তারপরেও নড়ে বসেনি প্রশাসন। এদিন হিলির ত্রিমোহিনীতে শনিবার নেতাজী জন্মদিন উপলক্ষে এক সভায় দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোশ্যাইটির সহ সভাপতি তুহিন শুভ্র মন্ডল প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, 'বালুরঘাটের ওই 'চ্য়াটার্জী বাড়ি'টি সংষ্কার করে স্মৃতি-সৌধ গড়ে তোলা হোক, নেতাজির স্মৃতি সংরক্ষণ করা হোক। সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হোক।'
১৯২৮ সালে বন্যায় পর ত্রাণ দিতে এখানে ছুটে এসেছিলেন নেতাজি
নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিনে নস্টালজিক দক্ষিণ দিনাজপুর। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি বর্ডার অঞ্চলে রায়বাহাদুর কুমুদ নাথ দাশের বাড়ি ঘিরে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। প্রায় ৯২ বছর আগে অবিভক্ত দিনাজপুরের বাসিন্দারা নেতাজির এক মহৎ রূপ দেখেছিলেন। ১৯২৮ সালে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি বর্ডার অঞ্চল। সেসময় নেতাজি এসে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার মানুষের পাশে। জানা গিয়েছে, ত্রাণ দিতে দার্জিলিং মেল ধরে নেতাজি এসেছিলেন দিনাজপুরে। হিলিতে সেসময় রায়বাহাদুর কুমুদ নাথ দাশের কাছারি বাড়িতে রাত কাটান। স্থানীয় মানুষেরা সেসময় বারোয়ারি তলায় সম্বর্ধনাও দিয়েছিলেন। স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদের নিয়েও একটি মিটিং করেছিলেন নেতাজি। সেই মিটিং -এ তিনি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন। এখানেই প্রথম বেঙ্গল ভলেন্টিয়ারস তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেন নেতাজি।