'বাঙালকি গদ্দারো কো-গোলি মারো শালো কো'। বাংলায় একুশের নির্বাচনের আগে এই স্লোগান ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার কলকাতার পর বুধবার একই স্লোগান শোনা গিয়েছিল চন্দননগরে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় দিল্লিতে এই স্লোগান শোনা গিয়ে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্লোগান মাথাচাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন-'কর্মী না থেকে বিজেপিতে আসুন', প্রাক্তন সহকর্মীকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু
বুধবার হুগলির চন্দননগরে মিছিল ও পথসভা করে বিজেপি। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নবাগত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল চলাকালীন 'বাঙালকি গদ্দারো কো-গোলি মারো শালো কো'এই স্লোগান দেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার হয় বিজেপি নেতা সহ তিন জন। ধৃতদের মধ্য়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ। মঙ্গলবার তৃণমূলের শান্তি মিছিল থেকে এই স্লোগান তোলা হয়েছিল। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাজ্য জুড়ে বোমাগুলির রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের পরই চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল থেকে এই স্লোগান ঘিরে নতুন করে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন-আমপান মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার, পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট
বুধবার চন্দননগরে বিজেপির রোড শোয়ে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্ত। এদিন বিকেলে ভাল ভাবেই রোড শো চলছিল। কিন্তু সেই সময় আচমকাই তাল কাটে। এর জেরে গোটা পরিস্থিতি বদলে যায়। 'বাঙালকি গদ্দারো কো-গোলি মারো শালো কো' এই স্লোগানের সপক্ষে সাফাইও দেন বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ। অন্যদিকে, বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না বলে জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এই অবস্থায় গোটা রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই স্লোগানের ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতে কাটতেই তিন জনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর কমিশনারেট।