দীর্ঘ দিন ধরেই আশঙ্কা ছিল। তবে বসন্তের বাতাসেই যে গ্রীষ্ণের দাবদহ বইবে তেমন কোনও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তেমনই ঘটছে মুর্শিদাবাদে। বর্তমানে সিপিএমএর দলবদলু বিধায়ককে নিয়ে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের রাজনীতি। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চাপানউতোর। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে সদ্য যোগদান কারী বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক বনাম এলাকার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দা রাফিকা সুলতানার অনুগামীদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। তবে বুধবার তা প্রকাশ্যে আসে।
বুধবার রীতিমতো দলত্যাগ কারী সিপিএম বিধায়ক (যিনি বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য) আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান হয়। তাকে প্রার্থী না করার দাবি জানিয়ে প্রকাশ্যেই অবস্থান-বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ দেখান দলেরই একাংশ। বিক্ষোভকারীদের জোরালো দাবি, জলঙ্গি বিধানসভায় প্রার্থী হিসাবে আব্দুরকে চান না তাঁরা।মুর্শিদাবাদ এর জলঙ্গি ব্লকের উত্তর জোনের তৃণমূল কনভেনর প্রদীপ মণ্ডলের নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন জেলা পরিষদের সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও উত্তর জোনাল কমিটির সব সদস্য। দেবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ সিপিএম ছেড়ে আসা তৃণমূলে যোগদানকারী বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। এখনও শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁর।তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে দলের ক্ষতি হবে।তার জায়গায় প্রার্থী হোক দলেরই জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ রাফিকা সুলতানা"।
১২ তলা থেলে পড়ে গিয়েও রক্ষা পেল ২ বছরের মেয়ে, আলৌকিক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল ...
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের মূল দাবি, ‘বাংলা তার মেয়েকে চাইলেও’ জলঙ্গি বিধানসভায় প্রার্থী হিসাবে আব্দুর রাজ্জাক কে তাঁরা চান না। দুর্নীতিগ্রস্ত ও তৃণমূলের সংগঠন নষ্ট করা আব্দুর রাজ্জাককে বিধানসভার টিকিট না দেওয়ার জন্য শীর্ষনেতৃত্বের কাছে দরবারও করেছেন তাঁরা।যদিও বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ যারা দলে থেকে এই ভাবে দলের বিরুদ্ধাচারণ করছেন তারা আদতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধাচারণ করছেন, তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সবকিছু জানানো হবে সেইমতো তারাই এইসব বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে"।