বুথের মধ্যে পোলিং অফিসারের মুখেই 'জয় শ্রীরাম', এদিকে হাতজোড় করতেই বাধা CPM-কে

ষষ্ঠ দফা ভোটের দিন বিতর্কে সম্ভাষণ

এক জায়গায় বুথের মধ্যে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ

অন্যদিকে, হাতজোড় করতেই বাধা দেওয়া হল সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে

দক্ষিণ পূর্বস্থলী এবংউত্তর দমদমের ঘটনা

amartya lahiri | Published : Apr 22, 2021 6:23 AM IST

বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠ দফা ভোটের দিন, দুই জায়গায় দুই চিত্র দেখা গেল। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার এক ভোটকেন্দ্রে তৃতীয় নির্বাচনী আধিকারিকই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, দমদম উত্তরে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য একটি বুথের বাইরে হাতজোড় করে নমস্কার করতেই, সেই নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। বাধা দিলেন বিজেপি কর্মীরা।

দুটির ক্ষেত্রেই বিতর্কটা সম্ভাষণকে ঘিরে। জানা গিয়েছে এদিন দক্ষিণ পূর্বস্থলীতে, ভোট শুরুর সময়ই সেখানকার একটি বুথে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যেক বুথেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর আগে 'মক পোল' বা ছদ্ম ভোট হয়। অর্থাৎ প্রত্যেক দলের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট যন্ত্রের সবকটি বোতাম ঠিকমতো কাজ করছে কি না ইত্যাদি দেখে নেওয়া হয়। অভিযোগ এদিন পূর্বস্থলীর ওই বুথে মক পোল শেষ হতেই  তৃতীয় পোলিং অফিসার সৌম্যজিত ভট্টাচার্য 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিয়ে ওঠেন, বলেন, 'জয় শ্রীরাম, এবার সব ভাল যাবে'।

এরপরই ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিজেপি বাদ দিয়ে অন্যান্য দলের এজেন্টরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ভোটকর্মী আদৌ কোনও ভুল করেছেন কি না, এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি একাধিক নেতার দাবি, ওই ভোটকর্মী কোনও ভুল করেননি। কারণ, জয় শ্রীরাম কোনও রাজনৈতিক স্লোগান নয়। এটি ধর্মীয় স্লোগান। তাই তা বলার অধিকার আছে তাঁর, বিশেষ করে রামনবমীর পরের দিন এটটা তিনি বলতেই পারেন।

অন্যদিকে, দমদম উত্তর কেন্দ্রের এক বুথ পরিদর্শনে গিয়ে বুথের বাইরে ভোটারদের নমস্কার করতে গিয়ে বিজেপির বাধার মুখে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি হাতজোড় করে ভোটের দিন ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে, সিপিএম প্রার্থীর দাবি, তিনি হাতজোড় করে মানুষকে সম্ভাষণ জানাচ্ছিলেন, যেটা বাংলার রীতি। তাঁর প্রশ্ন, 'হাতজোড় করাটা কি অপরাধ?' তন্ময় ভট্টাচার্যর অভিযোগ, বাংলার রীতিনীতি ভুলিয়ে বিজেপি উত্তরপ্রদেশেরে সংস্কৃতি আমদানী করতে চাইছে।

Share this article
click me!