সম্প্রতি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে মুকুল রায়ের। তারপর থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন অনেকেই। প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে সেই তালিকা। শোনা যাচ্ছে, এই তালিকায় রয়েছেন প্রবীর ঘোষালও। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে কোন্নগরের স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। তাঁর নামে পোস্টার পড়েছে কোন্নগরের বিভিন্ন জায়গায়। এগুলিতে লেখা হয়েছে, "মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।"
আরও পড়ুন- লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদ, প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ালেন মমতা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাটার্ড বিমানে চেপে দিল্লি যান প্রবীর ঘোষাল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরই ছবিটা বদলাতে শুরু করে।
কয়েকদিন আগেই বেসুরো ছিলেন প্রবীর ঘোষাল। বলেছিলেন, "আমার মাতৃ বিয়োগের পর সমবেদনা জানিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে খোঁজ নেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতারা খোঁজ নিলেও, যোগাযোগ করেননি রাজ্য নেতারা।" এভাবেই অভিমান ঝড়ে পড়েছিল তাঁর গলায়। আর তারপর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছি, এখনও দল পরিবর্তনের কথা ভাবিনি।"
এদিকে আজ সকাল থেকেই কোন্নগরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে পোস্টার দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, "মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূলে নেওয়া যাবে না।"
প্রবীর ঘোষালের পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। একইভাবে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার স্থানীয়রা। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছে ডোমজুড় ও সলপে। আর এবার প্রবীর ঘোষালকে দলে ফেরানো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পোস্টার দিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, দলে কাকে ফেরানো হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।