বাম আমলেও যাঁর জয় কখনও কেউ কাড়তে পারেনি, বর্ণময় মানসপট

  • মানস ভুঁইয়া এবার আর কংগ্রেসে নেই
  • ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর তিনি শাসক দলে যোগ দেন
  • প্রচারে বেরিয়ে মাত্র কয়েকদিন আগে শিরোনামে এসেছেন এই রাগী রাজনীতিবিদ
  • ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ২০১৬ পর্যন্ত কংগ্রেসের হয়ে আসন জিতেছেন তিনি

Asianet News Bangla | Published : Mar 27, 2021 3:06 PM IST / Updated: Mar 29 2021, 07:27 AM IST

তাপস দাস: অধীর চৌধুরী তাঁর সম্পর্কে বলেছেন বুড়ো গরু। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। খুব সচেতন না থাকলে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বা ঝানু সাংবাদিকও তাঁর পরিচয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে দলের নাম ভুল করে ফেলতে পারেন। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে দলকে হারাবার জন্য তিনি চিরশত্রু সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে ফেলছিলেন, সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে যাঁর আলিঙ্গনের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল, সেই মানস ভুঁইয়া এবার আর কংগ্রেসে নেই। 

আরও পড়ুন-প্রথম দফায় ভোট পড়ল ৮০ শতাংশ, কমিশনের ভূমিকায় খুশি বিজেপি, ভোট শতাংশে সন্তুষ্ট শাসক...

মানস ভুঁইয়া, ডক্টর মানস  ভুঁইয়া দল বদলেছেন। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠনের পর, সে মন্ত্রিসভায় তাঁকে সেচ দফতর দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস মমতা সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেবার পর তিনি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর তিনি শাসক দলে যোগ দেন। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। প্রচারে বেরিয়ে মাত্র কয়েকদিন আগে শিরোনামে এসেছেন এই রাগী রাজনীতিবিদ। আবাস যোজনার বাড়ি কেন পাওয়া যায়নি, এ নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে দলেরই এক কর্মীর কাছে প্রশ্ন করেন মানস। সদুত্তর না পেয়ে জনসমক্ষেই চড় মারেন ওই কর্মীকে। এ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যেতে, মানস বলেছেন, দলীয় কর্মীদের শাসন করার অধিকার নেতাদের রয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে এভাবে মেজাজ হারানোকে আত্মবিশ্বাস হারানোরই প্রমাণ বলে দাবি করছে বিরোধীরা। 

আরও পড়ুন-ভোটপ্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অস্ত্র আমফান-কাঁটা...

তবে সবং হাতের তালুর থেকেও বেশি চেনেন মানস। ঘোর বাম জমানায়, ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ২০১৬ পর্যন্ত কংগ্রেসের হয়ে এ আসন জিতেছেন তিনি। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেবার পর তিনি রাজ্যসভায় মনোনীত হন। ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবার পর উপনির্বাচন হয়, ২০১৭ সালে। জেতে তৃণমূল। কারণ, তখন মানস তৃণমূলে। ফলে, মানসকে চাপে ফেলা, সবংয়ে তত সহজ নয় বলেই মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা। মানসের দলবদল নিয়ে নানারকম জল্পনা চালু রয়েছে। কংগ্রেসে থাকাকালীন এক খুনের ঘটনায় তাঁর নাম জড়ায়। সে মামলায় তিনি চাপে পড়ার পর শাসক দলে নাম লেখান তিনি, এমন কথা রাজনৈতিক মহলে প্রায়শই ঘোরে। আবার তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেবার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মোটেই সন্তুষ্ট হননি। তাঁদের বক্তব্য, বরাবর মানস তাঁদের শত্রু শিবিরে। সব মিলিয়ে সবং জমকালো থেকেছে মানসকে ঘিরে। এবার সে পটের বদল ঘটে কিনা, তা দেখার।

Share this article
click me!