"বিজেপির দালাল", জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কটাক্ষ শওকত মোল্লার

সব মিলিয়ে ওই রিপোর্টে প্রায় ১০০ জনের নাম রয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ শাসকদল। তাঁদের মতে, বিজেপির কথা শুনেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছে কমিশন।  

Asianet News Bangla | Published : Jul 15, 2021 2:54 PM IST

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার চূড়ান্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই রিপোর্টে‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’-র তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম রয়েছে। নাম রয়েছে একাধিক মহিলারও। সব মিলিয়ে ওই রিপোর্টে প্রায় ১০০ জনের নাম রয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ শাসকদল। তাঁদের মতে, বিজেপির কথা শুনেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছে কমিশন।  

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা - গ্রেফতার ৩ শতাংশেরও কম, ডিআইজির পাঠানো রিপোর্টেই বেআব্রু বঙ্গ পুলিশ

রিপোর্টে নাম রয়েছে ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার। এনিয়ে কমিশনকে 'বিজেপির দালাল' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, "আজকের এই তালিকা দেখে মনে হচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা বিজেপির দালাল। বিজেপির দালাল না হলে এধরনের রিপোর্ট পেশ করতে পারতেন না। আমার নামে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা নেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তেমন হিংসার কোনও ঘটনাও ঘটেনি। তারপরেও আমার নাম কীভাবে তালিকায় এল, তা দেখে আমার আশ্চর্য লাগছে। আমার মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হারটি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মেনে নিতে পারেনি। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নাম করে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা করছি। দলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করব।"

আরও পড়ুন- করোনা আবহে বন্ধ যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সুযোগ বুঝে হাত সাফাই চোরের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক হিংসার অভিযোগ সামনে এসেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘরছাড়া হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত অশান্তির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই মতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করেছিল কমিশনের প্রতিনিধিরা। গত কয়েকদিন ধরে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, ফলতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গায় গিয়ে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভাঙচুর হওয়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ও ঘুরে দেখেছিলেন। এরপর সেই রিপোর্ট মঙ্গলবার হাইকোর্টে জমা দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা - সবথেকে বেশি অভিযোগ কোচবিহারে, ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই FIR করেনি পুলিশ

সেই রিপোর্টে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনই রাজ্যের কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিশনের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’-র তালিকায় নাম রয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর। রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক খোকন দাস, প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ, কাউন্সিলর জীবন সাহা, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট থাকা শেখ সুফিয়ান এবং ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। 

Share this article
click me!