সংক্ষিপ্ত
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাংলা বিভাগে চুরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ল্যাবরেটারি থেকে একাধিক যন্ত্রাংশ খোয়া গিয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। যার দাম লক্ষাধিক টাকা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের তেমন একটা দেখাও মিলছে না। আর এই সুযোগেই হাত সাফাই করল চোর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে চুরি গেল লক্ষাধিক টাকার দুর্মূল্য যন্ত্রাংশ।
আরওপড়ুন- পর্যটকদের জন্য দিঘায় চালু হল বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষা পরিষেবা, জেনে নিন বিস্তারিত
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাংলা বিভাগে চুরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ল্যাবরেটারি থেকে একাধিক যন্ত্রাংশ খোয়া গিয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। যার দাম লক্ষাধিক টাকা। এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবরেটরি থেকে চুরি গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। পাশাপাশি বাংলা বিভাগের ৩টি ঘরের তালা ভেঙে কম্পিউটারও চুরি করেছে চোর। এই ঘটনার কথা জানার পরই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে তার একটা তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- কমাতে হবে পেট্রোলের দাম, পুরুলিয়ায় ৩দিন ব্যাপী সাইকেল মিছিল কংগ্রেসের
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন বিভাগীয় আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা দেখেন ল্যাবরেটরির গেটের তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে রীতিমতো অবাক হয়ে যান। দেখেন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উধাও। আর বাকি যন্ত্রাংশ একপাশে গুছিয়ে রাখা আছে। তাঁদের অনুমান, সম্ভবত সেগুলিও পরে নিয়ে যেত চোর। আর সেই কারণেই গুছিয়ে সেগুলিকে পাশে রাখা রাখা হয়েছিল। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এমন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে যা ল্যাবরেটরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ক্লাস না হলেও নিরাপত্তারক্ষী সব সময় পাহারা দেন। তাঁদের নজর এড়িয়ে কীভাবে এতগুলি জিনিস চুরি হয়ে হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, এই খবর পেয়েই বিভাগীয় প্রধানকে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। থানায় এফআইআরও দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় CP-কে 'বাবা' বলে সম্বোধন তরুণীর, অভিযোগ পেয়েই তদন্ত নামল কলকাতা পুলিশ
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও জিনিস চুরি যাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগেও বাংলা বিভাগ থেকে বেশ কিছু জিনিস চুরি গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠন জুটা। এই চুরির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত আছেন বলে মনে করছেন সংগঠনের সদস্যরা।