শুভেন্দু-সৌমেন্দু বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর কার্যত তাঁদের বাবা শিশির অধিকারী-দিব্য়েন্দু অধিকারী নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপ বাড়ছিল। কাঁথির শান্তিকুঞ্জের প্রবীণতম সদস্য কড়া বার্তা দিতে শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্য়ান পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও উঠেছে প্রশ্ন, শেষেমেষ কী কারণে সরে যেতে হল শিশির অধিকারীকেও।
আরও পড়ুন, 'কে দোষী- রাজীব না কুণাল', 'আয়নার সামনে দাঁড়াক এবার তৃণমূল',তীব্র আক্রমণ শোভন-বৈশাখীর
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'অপসরণ নয়-ওনার তো বয়েস হয়েছে। এখনও বাইরে দৌড়-ঝাপ করতে পারবেন না। যেভাবে বয়েসের কারণে সরে যেতে হয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে, বয়েসের কারণে সরে যেতে হবে হয়তো মোদীকেও, আমারও বয়েস হলে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে শিশির অধিকারীকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। কারণ আমরা প্রত্যেকেই একই আদর্শে এগিয়ে চলেছি। আমাদের প্রত্যেকের মতো গান্ধীবাদ-সুভাষবাদে বিশ্বাসী শিশিরদাও।তাই তাঁর ছেলে শুভেন্দু-সৌমেন্দু আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে বিজেপিতে গেলেও, আশা করি এই বয়েসে নিজের আদর্শ ছেড়ে যাবেন না শিশির অধিকারী।'
আরও পড়ুন, ' আমায় সিঁদূর পরিয়ে দে', মন্দিরে গিয়ে আর পারত না, জুনিয়ারকে চাপ দিত প্রিয়াঙ্কা
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরপরই তার ভাই সৌমেন্দুকেও অপসরণ করা হয়েছিল। যদিও অপসরণের কারণ জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। তারপর দাদার হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সৌম্য়েন্দু। আর এবার শিশির অধিকারীর সরে যাওয়া নিয়েও তাই উঠল প্রশ্ন। ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের পর আরও রহস্যঘন শিশির। চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।