করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণে মধ্যেই ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ রাজ্যে। রাজ্যের চারটি জেলার ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার ও ভোট প্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৭৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হবে পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুরে।
এক নজরে দেখে নিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিন্যাসঃ
আসানসোল দুর্গাপুর- ১৪ কোম্পানি
বনগাঁ- ৬৯ কোম্পানি
বারাসত - ৫৯ কোম্পানি
ব্যারাকপুর- ১০৭ কোম্পানি
বসিরহাট- ৪০ কোম্পানি
বিধাননগর কমিশনারেট- ৩ কোম্পানি
দঃ দিনাজপুর- ৩ কোম্পানি
ইসালপুর- ৮২ কোম্পানি
কৃষ্ণনগর-১৬২ কোম্পানি
পূঃ বর্ধমান- ১৪৩ কোম্পানি
রায়গঞ্জ- ৯৬ কোম্পানি
৪৩টি বিধানসভা আসনে মোট ৩০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি তিন লক্ষ। ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে ১৪,৪৮০ পোলিং বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর চারটি জেলার বেশ কয়েকটে আসনকে স্পর্শকাতর বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন হবে ভাটপাড়া, নৈহাটি, মঙ্গলকোট, ভাতারের মত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর আসনগুলিতে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রয়োজনে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গুলি যাতে হাঁটুর নিচে লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
২২ এপ্রিলের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা করা হবে। তালিকায় রয়েছে, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, স্বপন দেবনাথ, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভ্রাংশু রায়,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নাম। তারকা প্রার্থী হিসেবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কৌশানি মুখোপাধ্য়ায়। কৃষ্ণনগর উত্তর, হাবড়া, বিধানসভা সহ বেশ কয়েকটি আসনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এক নজরে দেখে নিন তালিকাঃ
কৃষ্ণনগর উত্তর
তৃণমূল কংগ্রেস - কৌশানী মুখোপাধ্যায়
বিজেপি - মুকুল রায়
গাইঘাটা
বিজেপি - সুব্রত ঠাকুর
সংযুক্ত মোর্চা - কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর
হাবরা
তৃণমূল কংগ্রেস - জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
বিজেপি - রাহুল সিনহা
ভাটপাড়া
তৃণমূল কংগ্রেস - জিতেন্দ্র সাও
বিজেপি - পবন সিংহ
দমদম উত্তর
তৃণমূল কংগ্রেস - চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
সংযুক্ত মোর্চা - তন্ময় ভট্টাচার্য (সিপিএম)
রায়গঞ্জ
তৃণমূল কংগ্রেস - কানাইয়ালাল আগরওয়াল
সংযুক্ত মোর্চা - মোহিত সেনগুপ্ত (কংগ্রেস)
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে মূল লড়াই হবে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেই আসনগুলিতে উভয় পক্ষের প্রার্থীরাই নিজের দখলে রাখতে চাইবেন। শীতলকুচির মত ঘটনা ও ভোট সন্ত্রাস যাতে আর না হয় সেদিনেই কড়া নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন।