দিলীপের হাত ধরেই বিজেপিতে মিঠুন। সম্প্রতি কয়েকদিন ধরেই মিঠুনের মোদীর সভায় আসা নিয়ে ছিল জল্পনা তুঙ্গে। এনিয়ে শনিবার রাতে কৈলাস বিজয় বর্গীয় মিঠুনের বেলগাছিয়ার বাড়িতে যান, দেন টুইট বার্তা। এবার মিঠুন প্রসঙ্গে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, মোদীর ব্রিগেডে মানুষের ঢল, রাজপথে BJP-কর্মী-সমর্থকদের মিছিল, দেখুন ছবি .
তখনও সকাল নিউটাউনে। মিঠুন যোগ দেন তখনও বিজেতিতে। এদিকে সেই কাকভোরে মিঠুনের বিজেপি যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েলেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। তার বার্তা শুনে অনেকে আবার ভাবতে বসেছিল তাহলে কী মোদীর সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়া হল না মিঠুনের। ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিজেপি জয়েন করুক তো আগে। আমি শুনেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান, এর বেশি জানা নেই।' তবে জল্পনার জল বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি বেলা বাড়তেই মোদীর আসার আগে দিলীপের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দান করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, Election Live Update- ব্রিগেডে মোদীর সমাবেশে মানুষের ঢল, ওদিকে শিলিগুড়িতে মহামিছিলে মমতা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সকালে আরও বলেন,' এর আগেও ব্রিগেড করেছি, ঐতিহাসিক ব্রিগেড করেছি, এবার নির্বাচনের দিশা ঠিক করে দেওয়ার জন্য ব্রিগেড প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমাদের কর্মীরা খুব উৎসাহের সঙ্গে কাজ করছে ব্যাপক ভিড় হবে। নির্বাচন প্রস্তুতি এখান থেকে পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে। মোদীর নামেই সবাই উৎসাহিত হয়। আমরা নয় শুধু কর্মীরাও নয় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষই উৎসাহিত হন। এবারে ব্রিগেডের সভার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ব্রিগেডে কি হয় সারা ভারতবর্ষের মানুষ, পশ্চিমবাংলার তাকিয়ে আছেন। ব্রিগেডে মোদি কি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বিজেপি কি করবেন, পরিবর্তন কিভাবে আসবে, চর্চার বিষয়। একটা হাইভোল্টেজ প্রোগ্রাম হবে। আমরা তাকিয়ে আছি। খুব সফল ভাবে প্রোগ্রাম করব।'
আরও পড়ুন, আজ শিলিগুড়িতে মহামিছিল মমতার, ওদিকে 'দিদি'র পাড়ায় মোদীর সভা
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'আমরা বলেছি দলের সকলকে কাজ করার সুযোগ করে দেবো। প্রার্থী নাম খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। গত কাল রাতে আমরা বসেছিলাম। একবারে হয়তো বাকি সব টিকিট ঘোষণা হতে পারে। যে টিকিট পাবে সে সবাই তারকা। যতক্ষন না কেউ তাকে জানছেন সে তারকা নয়। অনেক তারকা এবারে খসে পড়ে গিয়েছে। দেখছেন কেমন কান্নাকাটি করছেন। এবার আমাদের একদম আননোন ফেস তারা বিধানসভায় জিতে বিধানসভায় পৌঁছাবে। নিঃসন্দেহে এবার নন্দীগ্রামের একটা অন্য আঙ্গিকে লড়াই হবে। দুজনেই পরিচিত মুখ, পপুলার চেহারা।এতদিন এক সঙ্গে লড়ছেন। এবার সামনাসামনি লড়ছেন। সেদিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই চলছে খুব লড়াই খুব ভালো হবে। শুভেন্দ্যু মুখ্যমন্ত্রী দুর্বলতা জানেন এবং নন্দীগ্রামকে হাতের তালুর মতো চেনেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের। যেহেতু উনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে। মুখ্যমন্ত্রী যদি নন্দীগ্রামের মানুষের সুযোগ নিয়ে জেতার চেষ্টা করেন তাহলে বলব আগে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথম ভোট দেবেন। তিনিই রক্ত দিয়েছেন। সামনে দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই করেছেন। সহকর্মীদের মৃত্যু দেখেছেন পরিবর্তন এর নায়ক তিনি।'