গণনা শুরুর আগেই উত্তেজনা। তৃণমূলের এজেন্ট ঢোকার আগেই খোলা হয়েছে স্ট্রং রুম। দোসরা মে ভোট গণনার শুরুর আগে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল প্রার্থী। ভবানীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দ্বারস্থ হলেন নির্বাচন কমিশনের।
রবিবার সকালে কমিশনে অভিযোগ জানান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন স্ট্রং রুম যখন খোলা হয়, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও এজেন্ট সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। গোটা বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর দাবি তৃণমূলের এজেন্ট ছাড়াই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্ট্র্ং রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে, এবার ভোট গণনার জন্য মোট ১০৮ টি গণনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। এদিন সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হয়। কোনওরকম হিংসা যাতে না ছড়ায় সেজন্য ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে অধিক সংখ্যায় গণনাকেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। করোনা বিধি নিয়ে খুবই কড়া নির্বাচন কমিশন। গণনাকেন্দ্রে এদিন থাকতে হলে কোভিড পরীক্ষায় পাশ করতে হবে , অর্থাৎ রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তবে সে বসার অনুমতি পাবেন।
প্রসঙ্গত চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং পদুচেরি এই ৫ রাজ্যে একই সঙ্গে ভোট হয়। তবে গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেই। একুশের হাড্ডাহাড্ডি ভোটের লড়াইয়ে গেরুয়া শিবির-ঘাসফুল শিবির দুই দলই ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করছে।
এদিকে, রবিবার ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় সারা বাংলা তথা দেশ। নীলবাড়িতে বিরাজ করবে কে, এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে ভোটবাক্সে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কি মমতা, নাকি বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার আসবে, এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অবেশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হবে বাংলার সব হেভিওয়েটের।