হিংসা থেকে বাদ গেল না খানাকুলও, তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন

  • ফল প্রকাশের পরেই বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক হিংসা
  • খানাকুলে নৃশংস ভাবে খুন তৃণমূল কর্মী দেবু প্রামানিক
  • বিজেপির দুস্কৃতিরাই দেবুকে মেরেছে বলে অভিযোগ
  • মৃতদেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের 
     

Ritam Talukder | Published : May 4, 2021 3:12 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 01:03 PM IST


খানাকুল, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিক্ষিপ্তভাবে নানা জায়গায় রাজনৈতিক হানাহানি শুরু হয়েছে। বাদ গেল না হুগলি জেলাও।  খানাকুলের নতিবপুর এলাকায় নৃশংস ভাবে খুন হলেন দেবু প্রামানিক নামে বছর পঞ্চাশের এক তৃণমূল নেতা।  বিজেপির দুস্কৃতিরাই দেবুকে মেরেছে বলে তাঁর বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে খানাকুল উত্তাল হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন, তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের পরেই BJP কার্যকর্তাকে পিটিয়ে খুন, শোকের ছায়া বেলেঘাটায় 

 

 


 দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী দেবু প্রামানিক। পেশায় মুদির দোকানি দেবু সিপিএম আমলে দীর্ঘ ১২ বছর ঘরছাড়া ছিলেন। বর্তমানে দলের এসসি এসটি সেলের ব্লকের দায়িত্ব দেখতেন। দেবুর ছেলের অভিযোগ   খানাকুলে বিজেপি জেতার পর থেকেই সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তার প্রতিবাদও করেছিলেন দলের এসএসটি সেলের নেতা দেবু। সোমবার দুপুরে  জনা পঞ্চাশেক বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী লাঠি, টাঙি, সাবল, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে দেবুর বাড়িতে চড়াও হয়। আটকাতে গেলে দেবুর স্ত্রী সহ বাড়ির কয়েক সদস্যরা আক্রান্ত হন। মত্ত অবস্থায় দুস্কৃতিরা দেবুকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির মধ্যেই পিটিয়ে অর্ধমৃত করে ফেলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ পরে নতিবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দেবু কে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর পেয়েই উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে তাঁরা মৃতদেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে সামিল হন। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন ।  

আরও পড়ুন, Live Covid 19- ফল প্রকাশের পর ৯ BJP কর্মী খুন, আজই রাজ্যে নাড্ডা, কোভিডের জেরে ফের স্থগিত অবশিষ্ট ভোট 

 

 

অন্যদিকে খানাকুলের নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক  সুশান্ত ঘোষ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, দেবু প্রামানিক কে তৃণমূলের লোকজনই মেরে বিজেপিকে ফাঁসাতে চাইছে। গতকাল ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকে তৃণমূল প্রার্থী  নজবুল করিমের নেতৃত্বে তার শাগরেদরা  খানাকুল জুড়ে সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। যাকে তাকে মারধর করছে, দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।পুলিশ কিছু করছে না। ওরা নিজেরা নিজেদের লোককে মেরে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। অন্যদিকে হুগলি গ্রামীন জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, খানাকুল থানা এলাকায় একটি খুন হয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।  তবে আমরা তদন্ত শুরু করছি। আপাতত ওই ঘটনায় ৪ জনকে আটক হয়েছে। মৃতদেহ আরামবাগে পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

Share this article
click me!