দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁরই সঙ্গে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠান হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। সূত্রের খবর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বকেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপিতে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। যা বিজেপির মত শৃঙ্খলাবদ্ধ দলে দেখা যায় না বলেও মনে করেছেন রাজ্যের আদি বিজেপি সদস্যরা। তাঁদের কথায় এজাতীয় বিশৃঙ্খলা তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যেই একটা সময় সীমাবদ্ধ ছিল। তৃণমূল স্তরের বিজেপি নেতা কর্মীদের বিক্ষোভও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চিন্তায় ফেলেছে। সূত্রের খবর এদিন সকাল থেকেই বিক্ষুদ্ধ দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতা অমিত শাহ নিজের সফরসূচি বদল করে রাতভর কলকাতা বৈঠক করে বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলা দখলই তাঁর পাখির চোখ। নবান্নে প্রবেশ করতে তিনি মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেই কারণেই রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায়কে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিজেপি এখনও চারটি দফা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিলীপ ঘোষের এক ঘনিষ্ট সহযোগী জানিয়েছেন বীরভূমের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে রাজ্যসভাপতিকে। গতবার তাঁর জেতে খড়গপুর আসনের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা হিরণ। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠদের মুখে শোনা যাচ্ছে ভবানীপুর আর নদিয়ার কৃষ্ণনদর আনসের কথা। দুটি আসনই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের নিরিখে দুটি আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ এর আগে একবার বিধানসভা নির্বাচন ও একবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই রয়েছে। দুটি লড়াইতেই তিনি জিতেছিলেন। কিন্তু মুকুল রায়কে কোনও দিনই ভোট ময়দানে প্রার্থী হতে দেখা যায়নি। তিনি বরাবরই সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাজ্যরাজনীতিতে। ২০০১ সাল তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভায় লড়াই করলেও তা খুব একটা আশাপ্রদ ছিল না তাঁর কাছে। যদিও মুকুল ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন বর্তমানে বিজেপি নেতার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাছাড়া ভোট রাজনীতিতেও তিনি খুব একটা স্বাচ্ছান্দ্য নন। তাই তিনি প্রার্থী হবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে দিলীপ ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন প্রার্থী হতে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তি করেননি রাজ্যসভাপতি।