নির্বাচনের এখনও দেরি আছে। কিন্তু তার আগে থেকেই ভোট সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বীরভূম। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবেই পরিচিত এই জেলা। দুবরাজপুরেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বোমা বাঁধছিল। সেই সময় আচমকাই বিস্ফোরণ হয় বোমা বাঁধতে গিয়ে উড়ে যায় হাত। সঙ্গীরা জখম ব্যক্তিকে ফেলে রেখে চম্পট দেয়। স্থানীয়তে তৎপরতায় উদ্ধার করে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। তবে বোমা বাঁধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
স্থানীয়দের কথায় আমুরী গ্রামের বাইরে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে বোমা বাঁধছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়। গ্রামের বাইরে আহত ব্যক্তিকে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের কথায় রক্তে ভেসে যাচ্ছিল এই ব্যক্তি। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে যায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। সেখাই চিকিৎসা চলছে। আহত ব্যক্তির নাম শেখ ইয়াসিন। দুবরাজপুরের লোবে অঞ্চলের বাসিন্দা সে। আহত ব্যক্তির একটি হাতের অবস্থা শোচনীয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে আহত ব্যক্তির দুটি হাতেরই কনুই পর্যন্ত বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
ওজনদার প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তিনি কি টানা ২৫ বছর রাজ করবেন বেহালা পশ্চিমে ...
৪র্থ দফায় ৪৪টি আসনে লড়াই, বিজেপির উত্তরবঙ্গে উত্থানের প্রভাব কি পড়বে দক্ষিণবঙ্গে ...
টালিগঞ্জ থেকে সিঙ্গুর, 'সেয়ানে সেয়ানে' লড়াই হবে যেসব বিধানসভা কেন্দ্রে .
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরজা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওরা দুষ্কৃতী। বিজেপির হয়ে বোমা বাঁধছিল। সেই বোমা ফেটে জখম হয়ে থাকতে পারে ওই ব্যক্তি”। যদিও বিজেপির ব্লক সভাপতি সাধন ধীবর বলেন, “বোমা গুলির আমদানি করে তৃণমূল। ওদের পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। এখন বোমা বেঁধে মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ পঞ্চায়েত ভোট ভুলে যায়নি। তার বদলা বিধানসভায় নেবেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা। বোমা, বন্ধুক দেখিয়ে কোন লাভ হবে না”। তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।