সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- উচ্চ শিক্ষিত পার্থর হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
- ২০ বছর টানা বিধায়ক তিনি
- বেহালা পশ্চিমের ভোটারা কখনও বিমুখ হননি
তাপস দাস, প্রতিনিধি, তৃণমূল কংগ্রেসে যে কয়েকজন অ্যাকাডেমিকালি উচ্চশিক্ষিত মানুষ রয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম বলে স্বীকৃত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু নম্বর ব্যক্তিত্বও বটে। তাঁর কাঁধে দায়িত্ব বহুবিধ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় কদাপি বিধানসভা ভোটে হারেননি। সেই ২০০১ সাল থেকে। এক বেহালা পশ্চিমেই তিনি ২০ বছর বিধায়ক হয়ে রয়েছেন। এবার লড়ছেন ২৫ বছরের জন্য।
বেহালা পশ্চিম তাঁর বাড়ি নয়। বাড়ি নাকতলায়। তবে তাঁর বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদে চাকরির পোস্টিং ছিল এই বেহালাতেই। ফলে বেহালা তাঁর চেনা মাঠ, অন্যভাবেও।
৪র্থ দফায় ৪৪টি আসনে লড়াই, বিজেপির উত্তরবঙ্গে উত্থানের প্রভাব কি পড়বে দক্ষিণবঙ্গে ...
এ হেন পার্থ কিন্তু খুব স্বস্তিতে নেই। ভোট নিয়ে নয়, অন্য কারণে। কিছুদিন আগে তাঁকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই, আইকোর চিটফান্ড মামলায়। হাজিরা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পার্থ অবশ্য সপাটে উত্তর দিয়েছেন, ভোটের আগে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
রাজীবকে গদ্দার আর নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন, ডোমজুড়ের জনসভায় আক্রমণাত্মক মমতা ...
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য পার্থ চ্যাটার্জি দলেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁকে বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে যথোচিত ভূমিকা নিতেও দেখা গিয়েছে। অ্যান্ড্রু ইযুলের মত সংস্থায় মানবসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পার্থ সে সব দায়িত্ব সামলেওছেন অনেকখানি। শোনা যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলত্যাগে নিরস্ত করতেও তিনি ভূমিকা নিয়েছিলেন, তবে সফল হননি।
চতুর্মুখী লড়াইয়ের কেন্দ্র ভাঙড়, নকশাল-পীরজাদা ভোট কাটাকাটিতে লাভের গুড় কে খাবে ...
২০১১ সালে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তিনি সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন ৬৯ হাজারের মত ভোটে। ২০১৬ সালে অবশ্য কঠিন লড়াই দিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। ৯ হাজারের মত ভোটে জিতেছিলেন পার্থ। তৃণমূলের ভোট শেয়ার কমেছিল ১৬ শতাংশেরও বেশি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে তার সঙ্গে মানানসই সম্পত্তিও। তাঁর উল্টোদিকের শ্রাবন্তীর মত ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি না থাকলেও, কোটিপতি প্রার্থী পার্থও। তাঁর গাড়ি নেই, গয়নাও নেই। নেই শেয়ারও। রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকার জীবনবিমা। হলফনামা জমা দেবার সময়ে তাঁর হাতে ছিল নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। প্রায় ৯১ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। নাকতলায় দেড় কাঠা জমির উপর দোতলা বাড়ি রয়েছে, যার দাম তিনি দেখিয়েছেন ২৫ লক্ষ টাকা। এমবিএ পাশ করা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১৫ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।
আক্ষরিক অর্থেও তিনি ওজনদার। স্নেহভরে মমতা তাঁকে মোটু বলেও ডেকেছেন কয়েকবার প্রকাশ্যে। কয়েকবছর আগে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ হয়েছে। তবে বেঁচে রয়েছেন মা, তিনিই বাড়িতে অভিভাবক পার্থর।
১০ এপ্রিল স্থির হবে, পরপর পাঁচবার তিনি বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক হতে পারেন কিনা।