জিএসটি বৈঠক ডাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর। উল্লেখ্য নিয়মঅনুসারে প্রতি তিন মাস অন্তর হয় জিএসটি পরিষদের বৈঠক। তবে কেন ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকা হয়নি একটাও জিএসটি পরিষদের বৈঠক। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
আরও পড়ুন, 'সংবিধান মেনেই যাব', শীতলকুচি সফর ইস্যুতে মমতাকে টুইটে তোপ রাজ্যপালের
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছেন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি চরম সঙ্কটের মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে, তখন ভার্চুয়ালিও ডাকা যেতে পারত জিএসটি পরিষদের বৈঠক। ২০২০ সালের অক্টোবারের শেষবারের এই বৈঠক হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই। তবে কেন এবার তা ডাকা হয়নি ', কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনেই গঠিত হয়েছিল জিএসটি পরিষদ। চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়ে অমিত মিত্র বলেছেন, সংবিধানের নিয়ম মেনে বছরে ৪ বার এই পরিষদীয় বৈঠক হওয়ার কথা। অর্থাৎ নিয়মঅনুসারে প্রতি তিন মাস অন্তর হয় এই বৈঠক। কিন্তু ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকা হয়নি একটাও জিএসটি পরিষদের বৈঠক। এটা কখনই কাম্য নয় বলে চিঠিতে জানিয়েছেন অমিত মিত্র। অন্যথায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের আস্থায় তার প্রভাব পড়বে। তাই অক্টোবারের মতোই ভার্চুয়াল হলেও যেন বৈঠকটা হয়। এমনটা না হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর নীতিবিরুদ্ধ হয়ে যাবে।
অপরদিকে, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চিঠিতে আরও লিখেছেন, রাজ্যগুলির প্রাপ্য় জিএসটি ক্ষতিপূরণ খাতে ঘাটতি বর্তমান অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌছে গিয়েছে। তবো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার কথা সেই হিসেবে নেই। সেটা ধরলে ওই অঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য গত রবিবার অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ করোনায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং সরঞ্জামের ওপরে কর নেওয়ার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই চিঠির উত্তর না দিয়ে ১৬ টি রিটুইট বা পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আগে থেকেই ছাড় দিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। জিএসটি ছাড়ের ইস্যুতে তিনি বলেছিলেন সাধারন মানুষের স্বস্তির বদলে ফল উল্টো হতে পারে। আর এবার তারপর পাল্টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।