'প্রাণে মারার চক্রান্ত', অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমাবাজি। বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। যদিও এই বোমা বাজির ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন, 'সংবিধান মেনেই যাব', শীতলকুচি সফর ইস্যুতে মমতাকে টুইটে তোপ রাজ্যপালের
সিআইএসএফ (CISF ) -এর প্রহড়া থাকা সত্ত্বেও ফের অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। বুধবার গভীর রাতে প্রায় ২টো নাগাদ একদল দুস্কতি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে এরপর জগদ্দল থানার পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ , তাকে প্রাণে মারার চক্রান্ত অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশকে সব জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। যদিও এই বোমা বাজির ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অপরদিকে উলটপূরাণ আবার ভাটপাড়া এলাকায়। ভাটপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাডাঙ্গা এলাকায় ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে ভাটপাড়া যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি দুষ্কৃতিদের।যদিও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ রাজা দাস নামে ঐ যুব তৃণমূল নেতার। ঘটনাস্থলে ভাটপাড়া থানার পুলিশ।এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন, ভোট মিটতেই শুদ্ধিকরণ তৃণমূলে, 'পরাজয়'-র শাস্তিই কি পেলেন রামপুরহাটের প্রশাসক
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রক্ত ঝরছে বিজেপির কর্মীর। এবং প্রতিবারই কাঠগড়ায় তৃণমূল। রিপোর্ট তলব করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। এরপরেই টুইটে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, ' গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক এমন অনর্থক হিংসা, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। এই অরাজকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, কেন গণতন্ত্রের উপরে এই হামলা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি ইঙ্গিত উঠে আসছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন।' উল্লেখ্য, গোটা পরিস্থিতির রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।