রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের। ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে মমতাকে ট্য়াগ করে টুইটের পর এবার সদ্য নিযুক্ত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড়। উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৭ টায় মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যেপাল।কাকতালীয়ভাবে ওই একই দিনে শীতলকুচিকাণ্ডে সিআইডি-র রিপোর্টে নতুন তথ্য উঠে আসতেই শীতলকুচি যাচ্ছে ফরেন্সিকের ব্যালেন্সিক টিম।
রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সদ্য নিযুক্ত মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করছেন রাজ্যপাল। মমতাকে নিশানা করে শনিবার মধ্যরাতে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড়। সেখানে একদিকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অপরদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ট্য়াগ করে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও বার্তা দিতে চেয়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় পুলিশ কার্যত কিছু করছে না বলেই অভিযোগ উঠে এসেছে। এবং তিনি নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে ভিডিও এবং অভিযোগপত্রও তুলে ধরেছেন। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা যেভাবে চলছে, তা মানবতাকে লজ্জা দেবে। পুলিশ কিছুই করছে না। ফলে সাহস বাড়ছে। পুরোটাই বিরোধীদের শাস্তি দিতে করা হচ্ছে। '
আরও পড়ুন, শীতলকুচিকাণ্ডে CID রিপোর্টে বাড়ল রহস্য, সোমবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ব্যালেন্সিক টিম
এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, 'রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদমর্যাদকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন। তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত। ও একজন অতৃপ্ত আত্মা। নির্বাচনের আগে একজন রাজ্যপাল পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। যেটা রাজ্যপাল পদ থেকে দেওয়া যায় না। বাংলার মানুষ এই ডাক প্রত্যাক্ষানকরেছে। তাই অতৃপ্ত আত্মা, মানসিক অবসাদগ্রস্থ বৃদ্ধের এখন টুইট করাই কাজ।' অপরদিকে, চতুর্থ দফার ভোটের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এদের মধ্য়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মধ্য়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন মানুষ ভূলতে পারেনি সেই ঘটনা। গন্ডগোল যখন বাইরে হচ্ছিল, তখন কীকারণে বুথের দিকেই গুলিবর্ষণ হয়, তা খতিয়ে দেখতেই রাজ্য়ের তরফে সোমবার শীতলকুচি যাচ্ছে ফরেন্সিকের ব্যালেন্সিক টিম।