বিধায়কহীন নন্দীগ্রামে ৭ জানুয়ারি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁকে জবাব দিতে নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বছর শেষেই আগেই পূর্ব নির্ধারিত সেই কর্মসূতি বাতিল হয়ে যায়। এই বিষয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই অবস্থায় কেন বাতিল হল নন্দীগ্রামে মমতার সভা? এই সভার রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি খোলসা করলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হচ্ছেন অমর্ত্য সেন, উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির
সম্প্রতি, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। তারপরই রবিবার তাঁর শরীরে করোনা ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রামনগরের বিধায়ক থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানালেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। বিধায়ক অখিল গিরি সুস্থ হলেই নতুন করে সভার দিন ধার্য করা হবে বলে জানালেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে ঘাসফুলে করোনার হামলা, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রামনগরের বিধায়ক
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পাশাপাশি, একশো দিনের কাজ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেন সুব্রত। ছোট ছোট বিষয়েও কেন্দ্র বাংলার সরকারকে আক্রমণ করেছে বলেও দাবি করলেন তিনি। এছাড়াও, পঞ্চায়েত দফতর মারফত গ্রামোন্নয়নে রাজ্য সরকার বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে বলে জানান সুব্রত মুখোপাধ্যায়।