সিএএ ইস্যুতে আরও একবার এই রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে সরব হলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তথা বিজেপির স্টার প্রচারকর। বৃহস্পতিবার হুগলির চণ্ডীতলার বিজেপির অভিনেতা প্রার্থী যশের সমর্থনে ভোট প্রচার করেন তিনি। ভিড়ে ঠাসা জনসভা থেকেই সিএএ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ।
এদিন জনসভা থেকে তিনি বলেন, সিএএ ইস্যুতে গতবছর যখন উত্তাল হয়েছিল দেশ,সেই সময় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভকারী বা যারা হিংসা ছড়াচ্ছিল তাদের সমর্থন করেছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো ছবি ছিল উত্তর প্রদেশে। তিনি বলেন সেই রাজ্যে তাঁর সরকার দাঙ্গাকারীদের ছবি ও নাম দিয়ে হোডিং টাঙিয়েছিল। অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মত কড়া পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই রাজ্যে যারা হিংসা ছড়িয়েছিল তাদের তৃণমূল ভোট ব্যাঙ্কের অংশ হিসেবেই চিহ্নিত করে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী যশের সংর্থনে জনসভা করেন যোগী আদিত্যনাথ। জনসভায় ছিল উপচে পড়়া ভিড়। এই রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে সিএএ, লাভ জেহাদ-সহ একাধিক বিষয়গুলি উত্থাপন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ।
অন্যদিকে এদিন আলিপুর দুয়ারে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রোডশো করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর রোডশো ঘিরে স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থক ও বাসিন্দাদের মধ্যে ছিল চরম উদ্দীপনা। গত লোসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। একাধিক বিধানসভা এলাকাতেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে। আর উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় ভোট জয়ের লক্ষ্যে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। চতুর্থ দফা আর্থাৎ আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে নির্বাচন হবে।