সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি, বন্দি বাংলার ২১ জন যুবক

 

  • সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলার ২১ জন যুবক
  • জেড্ডা শহরে বন্দিদশায় দিন কাটছে তাঁদের
  • প্রশাসনের কাছে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন ওই যুবকেরা
  • উদ্বেগে পরিবারের লোকেরা

Asianet News Bangla | Published : Nov 1, 2019 8:58 AM IST / Updated: Nov 01 2019, 03:23 PM IST

কাশ্মীরে নয়, সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলার ২১ জন যুবক। জেড্ডা শহরে এখন কার্যত বন্দি অবস্থায় হয়ে দিন কাটছে তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট ভারত সরকারের কাছে তাঁদের উদ্ধার করার আর্জি জানিয়েছেন ওই যুবকেরা। উদ্বেগে পরিবারের লোকেরাও।

বাড়তি রোজগারের আশায় এ রাজ্য থেকে সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন ২১ জন যুবক। জেড্ডা শহরে একটি সোনার গয়না তৈরির কারখানায় কারিগর হিসেবে কাজ করেন সকলেই।  তাঁদের মধ্যে দু'জনের বাড়ি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে, আর একজন মন্তেশ্বরের বাসিন্দা। ওই যুবকদের দাবি, মাস তিনেক আগে সকলেই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য জেড্ডা শহরে ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজ হারাতে হয়েছে ওই ২১ জন যুবককে। এমনকী, গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে  বাড়ি থেকে বেরোতেও পারছেন না। সৌদির আরবে কর্মহীন হয়ে বন্দিদশায় অবস্থায় দিন কাটছে বাংলার ২১ জন যুবকের।  জানা গিয়েছে, দিল্লির পাচার বিরোধী কমিটির কাছে চিঠি দিয়ে নিজেদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলার ওই ২১ জন যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের অবস্থায় কথা পরিবারের লোকেদের জানিয়েছেন তাঁরা। 

এদিকে বিদেশে কাজ গিয়ে এমন বিপত্তিতে উদ্বেগে পরিবারের লোকেরাও। প্রশাসনের কাছে ওই যুবকদের উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বর্ধমান থেকে বছর চারেক সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনজন যুবক। বছর দুয়েক কাজ করার কিছুদিনের জন্য ফের বাড়ি ফিরেও এসেছিলেন তাঁরা।  ছুটি কাটিয়ে আবার সৌদি আররে কর্মস্থলে চলে গিয়েছিলেন। 

বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বেশি রোজগারের আশায় সৌদি আরবে কাজ করতে যান অনেকেই। বেশিরভাগ শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু বিদেশে কাজ করতে প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে নদিয়ার বাসুদেব রায়ের ক্ষেত্রে।  পরিবারের লোকেদের দাবি, এজেন্টদের মারফৎ সৌদির আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার একটি কারখানায় ১৪ ঘণ্টা কাজ করেও বেতন পাচ্ছেন না বাসুদেব। বিদেশে দিন কাটছে অনাহারে।  বাসুদেবকে দেশে ফেরে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।  

Share this article
click me!