লরিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং এক কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যৌথ অভিযান চালিয়ে মালদহে (Malda) বিপুল পরিমাণ মাদক ট্যাবলেট (Yaba tablet) ও এক কেজি ব্রাউন সুগার (Brown Sugar) উদ্ধার করল এসটিএফ (STF) ও পুলিশ (Police)। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, একটি লরিকে (Lorry) আটক করে তারা। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়েই ওই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার (Drug Recovered) করা হয়। কালিয়াচকের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। লরিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং এক কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম রুহুল আমিন মির্জা (৩০)। সে অসমের বঙাইগাঁও-এর বাসিন্দা। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির বাসিন্দা রন্টু সিংহকে (৩৪)। আর একজনের নাম সামাউন শেখ (৩৪)। সে কালিয়াচকের বাসিন্দা। বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্রাউন সুগার ও ইয়াবার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পাচারে ব্যবহৃত লরিটিকে। ১২ চাকার ওই লরিতে লুকিয়ে মাদক দ্রব্যগুলি পাচার করা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নেবে পুলিশ। এই মাদক পাচারের সঙ্গে বড় কোনও পাচার চক্র জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ধৃতদের থেকে সেকথা জানতে চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন- অনলাইন শপিং করতে সাবধান - কলকাতার বুকে চলছে প্রতারণা চক্র, গ্রেফতার ১
এর আগে অগাস্ট মাসের শেষের দিকে ডালখোলা থানা এলাকায় ব্রাউন সুগার সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল ডালখোলা থানার পুলিশ। আটক করা হয় দুটি মোটরবাইক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে ডালখোলা থানার পুলিশ পুর্নিয়া মোড় এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রাজদরবার হোটেলের সামনে দুটি মোটরবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ২৬০ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং নগদ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল। আটক করা হয়েছিল দুটি বাইকই এবং গ্রেফতার করা হয় মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিন যুবককে।
অন্যদিকে, অগাস্টের শুরুতে প্রায় এক কোটির হেরোইন সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন এক মহিলা।বারুইপুর জেলা পুলিশের অন্তর্গত ঘুটিয়ারিশরীফ হালদার পাড়া থেকে সাজিনা বিবি নামে বছর উন্ত্রিশের এক মহিলাকে দু কেজি হেরোইন সমেত গ্রেফতার করা হয়। বোরখা, ওড়না অথবা চাদরের আড়ালেই পাচার চালাত সে। ভিনদেশীয় মাদক পাচারের জেরে নারকোটিক্সের হাতে গ্রেফতার হয় দুই মহিলা সহ তিন জন। বেশকিছুদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানাডা থেকে উন্নত প্রজাতির মাদক ভুয়ো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যম দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে বলে খবর পেয়েছিল এনসিবি। সেই তথ্য ধরেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সংস্থার উপর নজরদারি চালাচ্ছিল আধিকারিকরা। এরপরেই উদ্ধার হয় ২০ কেজি ভিন দেশের মাদক।