
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত বছরের মতো এবারও ভক্তদের ছাড়াই পুরীর রথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য রথের দড়িতে টান দেওয়া হবে। তবে শুধু পুরী নয় সব দেশের সব রথযাত্রার অবস্থাই খানিকটা একইরকম। গত বছরের মতো এ বছরেও থমকে গেল হাওড়া আন্দুলের কুন্ডু চৌধুরীদের জোড়া রথের চাকা।
আরও পড়ুন- করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই পুরীতে রথ টানতে পারবেন সেবায়েতরা
৩০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই জোড়া রথ। একটি রথে থাকেন লক্ষ্মী-জনার্দন অন্যটিতে থাকেন জগন্নাথ। প্রথমদিকে দুটি রথ কাঠের থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর ১৯৯০ সালে লোহা দিয়ে পুনরায় তৈরি করা হয় রথ দুটি। প্রতিবছর রথের আগে নতুন রং করে সাজিয়ে তোলা হয় সেগুলিকে।
আন্দুলের মহিয়ারি রথযাত্রা উপলক্ষ্যে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ উপস্থিত হন এখানে। প্রাচীন প্রথা রীতি ঐতিহ্য মেনে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বছরই জাঁকজমক করে পালিত হয় এই রথযাত্রা। বসে বিশাল মেলা। তবে গত বছরের মতো এবছরও এই রথের মেলা বেশ ফিকে। সৌজন্যে করোনা পরিস্থিতি। তাই মন খারাপ জমিদার পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। সকলেই চাইছেন এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে যাতে আবার আগেকার মতোই স্বমহিমায় এই জোড়া রথের দড়িতে টান পড়ে।
আরও পড়ুন- পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভিআইপি রোডের উপর নৌকা রেখে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
গত বছরের মতো এবারও ভক্তশূন্য থাকছে পুরীর রথযাত্রা। রথযাত্রা সম্পন্ন করতে এবার বেশি সতর্ক ওড়িশা সরকার। গতবারের মতো এবারও পুরীতে রথ টানবেন শুধু সেবায়েত ও পূজারিরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই রথ টানতে পারবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার থেকে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সেবায়েতদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া তাঁদের জন্য করোনা টিকার শংসাপত্রও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রথযাত্রায় অংশ নেবেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী।
আরও পড়ুন- চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের খোঁজ হাওড়ায়
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীতে নিরাপত্তা অত্যন্ত কড়াকড়ি করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার কর্মী নিরাপত্তার জন্য় মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও মোতায়েন থাকবে পুলিশ। ১১ জুলাই রাত আটটা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে পুরীতে। মন্দির চত্বরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। মন্দির লাগোয়া সব হোটেল, বাড়ি সিল করে দেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে। এমনকী, বাড়ির ছাদ বা বারান্দা থেকেও এবার কেউ রথযাত্রা দেখতে পারবেন না।