ছোট থেকেই নাচতে খুবই ভালোবাসে প্রমা। ভারতনাট্যমের পাশাপাশি কত্থকেও সে সমান পারদর্শী। প্রমার এই সাফল্যের পিছনে একদিকে যেমন তার বাবা ও মায়ের অদম্য প্রয়াস রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে তার নাচের শিক্ষিকার ধৈর্য। এছাড়া প্রমার নিজের ইচ্ছে।
বয়স মাত্র ৫ বছর। কিন্তু, বয়স এতটুকু হলে কী হবে, এই বয়সেই রীতিমতো কামাল করে দিয়েছে সে। মাত্র এতটুকু বয়সেই সে জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। মাত্র ২৮ সেকেন্ডে ভারতনাট্যমের ৫২টি মুদ্রা প্রদর্শন করে ওই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ২ নম্বর বসুনগর এলাকার বাসিন্দা প্রমা পাল।
পানিহাটি সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কেজির ছাত্রী প্রমা। বাবা কুন্তল পাল পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। মা পূর্বিতা সাহা পাল বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা ব্লকের মসলন্দপুর রাজবল্লভপুর হাই স্কুলের শিক্ষিকা। ছোট থেকেই নাচতে খুবই ভালোবাসে প্রমা। ভারতনাট্যমের পাশাপাশি কত্থকেও সে সমান পারদর্শী। প্রমার এই সাফল্যের পিছনে একদিকে যেমন তার বাবা ও মায়ের অদম্য প্রয়াস রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে তার নাচের শিক্ষিকার ধৈর্য। এছাড়া প্রমার নিজের ইচ্ছে।
আরও পড়ুন, 'বাইরে থেকে এসেছে, বাংলার সংস্কৃতির কিছুই জানে না', রাখি উৎসবে এসে BJP-কে তোপ ফিরহাদের
আরও পড়ুন- 'তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না', রাখি উৎসবে 'মহিলা তালিবান' ইস্যুতে BJP-কে হুঁশিয়ারি পার্থর
তবে শুধু নাচই নয় গানও প্রমা খুব ভালোই গায়। ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতেও যথেষ্ট পারদর্শী সে। এছাড়াও ছবি আঁকতে খুবই ভালোবাসে প্রমা। কম্পিউটারের গ্রাফিক্স নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে তার। এত কম বয়সে মেয়ের এত প্রতিভা দেখে খুবই খুশি তার বাবা-মা।
পূর্বিতা সাহা পাল জানান, আগামী দিনে প্রমাকে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে অংশগ্রহণ করাতে চান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয় বাসিন্দারা। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রশাসনিক কর্তারা তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। আগামীদিনে প্রমার প্রতিভাকে বিকাশ করতে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌর প্রশাসক নিমাই ঘোষ।