লক্ষ্য আমদানিতে নির্ভরশীলতা কমানো, মুর্শিদাবাদে পেঁয়াজ চাষে জোর সরকারের

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন জেলাতেই সরকারি উদ্যোগে এবার অনেক বেশি পেঁয়াজের বীজ বিনামূল্যে চাষিদের দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদে এবার ২৭০০ বিঘার অধিক জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে।

Asianet News Bangla | Published : Aug 22, 2021 1:57 PM IST

মহারাষ্ট্রের নাসিকের উপর থেকে আমদানিতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য উদ্যান পালন দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এই রাজ্যে বর্ষাকালে পেঁয়াজ চাষ হত না বললেই চলে। নাসিক থেকে পেঁয়াজ এনে রাজ্যের চাহিদা মেটানো হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ না আসায় উৎসবের মরশুমে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। কিন্তু, রাজ্যের বর্ষাকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়লে চাষিরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও অনেকটাই কম হবে। সেই কারণেই সরকারের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চাষে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন জেলাতেই সরকারি উদ্যোগে এবার অনেক বেশি পেঁয়াজের বীজ বিনামূল্যে চাষিদের দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদে এবার ২৭০০ বিঘার অধিক জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। নওদা, সাগরদিঘি, হরিহরপাড়া ও বেলডাঙার দু’টি ব্লকে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে। এবছরই সবচেয়ে বেশি জমিতে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, "মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও বীরভূমের একাংশে এবার অনেক বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই চাষে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। পুজোর আগে বা পরে পেঁয়াজের দাম প্রতি বছর অনেক বেড়ে যায়। বাইরের রাজ্য থেকে তা এনে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যে চাষিরা পেঁয়াজ উৎপাদন করলে আমরা সবদিক থেকেই লাভবান হব।"

আরও পড়ুন- ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড অনিল কন্যা, অজন্তার শাস্তি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম

দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন জেলায় বিনামূল্যে এগ্রি ফাউন্ড ডার্ক রেড জাতের পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, "কয়েক বছর ধরেই মুর্শিদাবাদে চাষিদের বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ বেড়েছে। লাভও ভালো হয়েছে। এবছরও রেকর্ড পরিমাণ চাষ হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ রোপণ করা যায়। ৯০দিনের মধ্যে মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করে। জেলার মধ্যে নওদায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়। চাষের জন্য কোনও পরামর্শ দরকার হলে কৃষকরা সরাসরি আমাদের দফতরে যোগাযোগ করতে পারেন।"

আরও পড়ুন, 'বাইরে থেকে এসেছে, বাংলার সংস্কৃতির কিছুই জানে না', রাখি উৎসবে এসে BJP-কে তোপ ফিরহাদের

আরও পড়ুন- 'তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না', রাখি উৎসবে 'মহিলা তালিবান' ইস্যুতে BJP-কে হুঁশিয়ারি পার্থর

এ প্রসঙ্গে নওদার পেঁয়াজ চাষিরা বলেন, "বর্ষাকালে পেঁয়াজ চাষে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। বেশি বৃষ্টি হলে গাছ পচে যায়। অনেক যত্ন নিতে হয়। জল জমলে আর চারা হয় না। তবে উৎপাদন হলে লাভ ভালোই পাওয়া যায়। উৎসবের মরশুমে ব্যাপক চাহিদা থাকে। গতবছর পেঁয়াজ চাষ করে লাভ হয়েছিল। এবারও আশা করা যায় লাভের অঙ্ক ভালোই হবে।"

Share this article
click me!