দক্ষিণ দিনাজপুরের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে অনেকেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া অনলাইনেও জেলার বহু পড়ুয়া ওই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের আট পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। শনিবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের একটি কনফারেন্স হলে প্রাথমিকভাবে ছ'জনের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য অনুমোদনপত্র ও মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন জেলাশাসক আয়েষা রানী। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়ুয়ারা তাঁদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ পাবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে অনেকেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া অনলাইনেও জেলার বহু পড়ুয়া ওই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। সেগুলির প্রক্রিয়া আগে সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে এই জেলায় আপাতত প্রায় ৮২ জন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। সব কিছু জেলা প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখে তারপর তা ব্যাঙ্কগুলির কাছে পাঠানো হচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফে পড়ুয়াদের চাহিদা অনুযায়ী সেই অর্থগুলি ধাপে ধাপে পূরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক আয়েষা রানী, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ বিবেক কুমার, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সায়ন্তন তরফদার সহ অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- কেশপুরের পুলিশ কোয়ার্টারে উদ্ধার এসআই-এর ঝুলন্ত দেহ, খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের
প্রসঙ্গত, আজ ছ'জন পড়ুয়াকে ক্রেডিট কার্ডের ছাড়পত্র বা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গঙ্গারামপুর ব্লকের তিনজন, হরিরামপুর ব্লকের দুইজন ও কুমারগঞ্জ ব্লকের একজন রয়েছেন। প্রত্যেকেই প্রায় ২ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা ঋণ পাওয়ার অনুমোদন পেয়েছেন।
এবিষয়ে জেলাশাসক আয়েশা রানী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু হয়েছে। সেই মতো আজ প্রথম আমাদের জেলায় ছ'জনের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য অনুমোদন পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রক্রিয়াও চলছে। ওই পড়ুয়ারা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আমাদের জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ পাবেন।"
আরও পড়ুন- লক্ষ্য শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আনা, এবার আমেরিকা সফরে যেতে পারেন মমতা
হরিরামপুর ব্লকের এক পড়ুয়া স্বর্নায়ু পাল বলেন, "আমি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজকে কার্ডের জন্য জেলাশাসকের কাছে অনুমোদন পেলাম। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আগামীতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা আমার উচ্চশিক্ষায় লাগাতে পারব।"