সংক্ষিপ্ত
সহকর্মীদের তরফে জানা গিয়েছে, সকাল পর্যন্ত সবই ছিল ঠিক ছিল। এরপর সবাই নিজের সময় অনুসারে ডিউটিতে বেরিয়ে যান। সহকর্মীদের অনুমান, তখন কোয়ার্টার ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন সঞ্জয়।
কেশপুর থানার পুলিশ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে উদ্ধার এক সাব ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ। আজ সকালে সহকর্মীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত পুলিশকর্মীর নাম সঞ্জয় চৌধুরী(৪৮)। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মেদিনীপুরের কেশপুর শহরে। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্ত্রী।
সম্প্রতি কেশপুর থানায় কর্মরত ছিলেন সঞ্জয়। সহকর্মীদের তরফে জানা গিয়েছে, সকাল পর্যন্ত সবই ছিল ঠিক ছিল। এরপর সবাই নিজের সময় অনুসারে ডিউটিতে বেরিয়ে যান। সহকর্মীদের অনুমান, তখন কোয়ার্টার ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন সঞ্জয়। এরপর ওই থানায় কর্মরত অন্য এক পুলিশকর্মী কোনও জিনিস নিতে কোয়ার্টারে যান। তখনই সঞ্জয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এরপর চিৎকার করে বাকি সহকর্মীদের ডাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থানে আসেন অন্য পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয়কে নিচে নামিয়ে তাঁকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আনা, এবার আমেরিকা সফরে যেতে পারেন মমতা
আরও পড়ুন- ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, গণনা ৩ অক্টোবর
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন সঞ্জয়। যদিও এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর স্ত্রী ইপ্সিতা চৌধুরী বলেন, "আমাদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো ছিল। এমন কোনও কিছু ঘটেনি যার জন্য তাকে আত্মহত্যা করতে হবে। আমরা নিশ্চিত তাকে পরিকল্পিতভাবে কেউ খুন করেছে। আমরা খুনের অভিযোগ দায়ের করছি। পুলিশ তদন্ত করুক।"
আরও পড়ুন- হাফপ্যান্ট পরে টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার 'শাস্তি', টিকা পেলেন না যুবক
দিন কয়েক আগেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন এক পুলিশ আধিকারিক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল শিলিগুড়িতে। কী কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই পুলিশকর্মী ব্যক্তিগত কারণ নাকি তার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।