নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস। জেলায় জেলায় চলছে হামলা, ঘটছে রক্তপাত। হিংসার বলি হয়েছেন শাসক-বিরোধী সব দল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না হিংসা।বীরভূম জেলাতেও একাধিক গ্রামে লাগাতার চলছে সংঘর্ষ। বীরভূমের রামপুরহাট বিধানসভার তিলাই গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের মোট সাত জন।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এক কিশোর মাঠে শৌচকর্ম সারতে গেলে তৃণমূলের লোকজন তাকে মারধর করে। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। লাঠি, বাঁশ নিয়ে দুই পক্ষের আক্রমণে জখম হয় দুই পক্ষের সাত জন। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিস গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করে। এক বৃদ্ধও রেহাই পায়নি এই সংঘর্ষ থেকে। বিজেপির বিরুদ্ধেও হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল কর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রামপুরহাট বিধানসভার তিলাই গ্রামে তৃণমূলের আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছে ২২২ টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভাশিস চৌধুরী পেয়েছে ২০৬ টি ভোট। ফল বের হওয়ার পর থেকেই গ্রামে চাপা উত্তেজনা শুরু হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সন্ধ্যা হলেই তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের শাসিয়ে যায়। এমনকি বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত এলাকায় পানীয় জলের অকেজো টিউবওয়েলও সংস্কার করা হয়নি। ফলে চরম পানীয় জল সংকটে ভুগছেন গ্রামের মানুষ। তবে বৃহস্পতিবারে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।