জেলেদের জালে ওঠা বত্রিশ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরেও গ্রামবাসীদের তৎপরতায় কচ্ছপটিকে উদ্ধার করল উলুবেড়িয়া বন দপ্তর। রবিবার রাতেই বাগনান থানার পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে বিশালাকার কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে আনে।
আরও পড়ুন, দোল নিয়ে দুশ্চিন্তায় শান্তিপুর, ইতিমধ্য়েই এসে হাজির বিদেশিরা
পুলিশ ও বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বাগনান থানার দক্ষিণ বেণাপুর গ্রামের বাসিন্দা অষ্টশী রূপনারায়ণ নদে জাল ফেলার সময় তাঁর জালে 'অলিভ রিটলে' নামক বিরল প্রজাতির এই বিশালাকার সামুদ্রিক কচ্ছপটি ধরা পড়ে। তারপরেই সেটি কেনার জন্য এলাকায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বেনাপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কিশোরপুরের বাসিন্দা অলক ভৌমিক অষ্টশী-র কাছ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজির দাম হিসাবে ৭০০০ টাকা দিয়ে কচ্ছপটি কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। কচ্ছপটির ওজন ১০ কেজি ছিল বলে অষ্ট শী-কে জানানো হয়। যদিও পরে ওজন করে কচ্ছপটির ৩২ কেজি ওজনের বলে জানা গিয়েছে। কিশোরপুরের গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ বিরল প্রজাতির এই কচ্ছপটিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অলোকবাবুর উপরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে কচ্ছপ মারা বা ভক্ষণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। পুলিশ বা বনদপ্তর জানতে পারলে অলকবাবু গ্রেফতার হতে পারেন। এই বলে গ্রামবাসীরা অলকবাবুকে সতর্ক করেন। তারপরেই তিনি কচ্ছপটিকে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেইমতো বিষয়টি উলুবেড়িয়া বন দপ্তরকে জানানো হলে বন দপ্তর সম্পূর্ণ ঘটনা বাগনান থানাকে জানায়।
আরও পড়ুন, দোলে কুকুরের গায়ে রং দিলেই করতে হবে হাজত বাস, জানাল লালবাজার
রবিবার রাতেই বাগনান থানার পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে বিশালাকার কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে আনে। রাতেই বন দফতরের কর্মীরা কচ্ছপটিকে শ্যামপুর থানার ৫৮ গেট রেস্কিউ সেন্টারে নিয়ে যান। উলুবেড়িয়া বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার উৎপল সরকার জানান এটি অলিভ রিটলে নামের বিরলতম প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ। এটি ভারত সরকার কর্তৃক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বাঘ-সিংহের মতোই সিডিউল-এ ক্যাটেগরিতে সংরক্ষিত। এটি স্ত্রী কচ্ছপ বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান প্রাথমিকভাবে রেস্কিউ সেন্টারে সুস্থ করে তোলার পর কচ্ছপটিকে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, মনীষীদের মান দিয়েছেন মমতা, দিলীপকে পাল্টা ফিরহাদের