ব্যবধান মোটে ২৪ ঘণ্টার। ঘন কুয়াশার কারণে ফের দুর্ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রামে। এবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ধানজমিতে উল্টে গেল পুলিশের একটি বাস। চালক-সহ কম-বেশি আহত হয়েছেন পাঁচজন। আহতেরা ভর্তি হাসপাতালে।
বড়দিনের আগে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশার দাপটও। সকালের দিকে দৃশ্যমানতার কম থাকার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনাও। সোমবার সকালে বাসে চেপে ডিউটি করতে যাচ্ছিলেন ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার পাঁচজন পুলিশকর্মী। ঘন কুয়াশার কারণে ঘটে দুর্ঘটনা। মাঝ পথে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। রাস্তার পাশে ধানজমিতে উল্টে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই বাসের চালক-সহ পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করেন। সকলেই কম-বেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। উল্লেখ্য, রবিবার সকালেও দুর্ঘটনা ঘটেছিল ঝাড়গ্রামে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতার কম থাকায় বেলপাহাড়িতে রাস্তার পাশে রেলিং-এ ধাক্কা মারে একটি বাইক। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাইক আরোহী।
আরও পড়ুন: পাবজি গেম- এর জমজমাট টুর্নামেন্ট মেমারিতে, খবর পেয়েই বন্ধ করল পুলিশ
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদাসীন উদ্বাস্তু সুভাষিণী, ৯৬ বছরের বৃদ্ধার চিন্তা ছেলেকে নিয়েই
গত বুধবার আবার পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা। ভরদুপুরে বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সন্ধিপুর বাজার থেকে টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাঝ রাস্তায় টোটোটিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। লরির ধাক্কায় টোটো থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় লরিটি। মোবাইলে কথা বলতে বলতে চালক লরিটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। দুর্ঘটনার পর ধাওয়ার করে ঘাতক লরিটিকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙচুর চলে লরিতে, বেধড়ক মারধর করা হয় চালককেও।