খেলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের জানলা দিয়ে পড়ে গেল শিশু। দার্জিলিং-এর খড়িবাড়িতে চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনা।
চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনা রাজেন্দ্রনগর থেকে নিউ কামাখ্যা গামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস স্পেশালে। চলন্ত ট্রেনের জানলা দিয়ে পড়ে গেল শিশু। তবে ভাগ্যের জোরে শিশুটি প্রাণরক্ষা পেয়েছে। তবে গুরুতর জখম হয়েছে সে। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মুখে পড়ে শিশুটির নাম আরমান নেগী। বয়স মাত্র ৪ বছর। তার বাবার নাম উদান চাপা ভাই। তাদের বাড়ি কালিম্পং জেলার গরুবাথানে। এদিন বাবা-মার সঙ্গে রাজেন্দ্রনগর-নিউ কামাখ্যা ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেনে করে সে বাড়ি ফিরছিল। তাদের সিট ছিল এস সেভেন (S7) কামরায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ছিল শিশুটি। জানলার ধারে বসে সে খেলছিল। তবে, সেটি ছিল এমার্জেন্সি এক্সিটের জানলা। দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও বিপদের সময় দ্রুত ট্রেন থেকে বের হওয়ার জন্য স্লিপার ক্লাসে ই ধরণের জানলা দেওয়া হয়। এই জানলারই গ্রিল খুলে আচমকা পড়ে গিয়েছিল আরমান।
সেই সময় ট্রেনটি দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ির অধিকারী স্টেশনে ছিল। ওই স্টেশনে ট্রেনটি দাড়ায় না। কাজেই চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়েছিল আরমান। এরপর যাত্রীরা ট্রেনের চেন টানলে, অধিকারী স্টেশন পার করে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। পরিবারের সদস্য ও সহযাত্রীরা মিলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে শিশুটিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিশুটি প্রাণে বাঁচলেও এই দুর্ঘটনায় তার মাথা ফেটে যায়। উদ্ধার করার সময় তার মাথা দিয়ে গলগল করে রক্তপাত হচ্ছিল। এরপরই ৪ বছরের আরমানকে দ্রুত খড়িবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে জরুরি বিভাগে আরমানের প্রাথমিক চিকিৎসা-পরীক্ষা করা হয়। মাথার ক্ষতয় স্টিচ করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন সেখানকার ডাক্তারবাবুরা। তার হাতেও চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, দুর্ঘটনার ফলে শরীরে অভ্যন্তরে কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডাক্তাররা। আরমানকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়েও তার প্রাণরক্ষা পাওয়াটা একরকম মিরাকল বলে মনে করছেন সহযাত্রীরা। অদিকারী স্টেশন পার করে দাড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।