সংক্ষিপ্ত
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে উদ্ধার এক মহিলার অর্ধনগ্ন মুখ ত্যাতলানো দেহ। সিসিটিভি দেখে পুলিশ পড়ল আরই ধাঁধায়।
যথেষ্ট বেগে চলা, চলন্ত এক গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা হল অর্ধনগ্ন এক মহিলার দেহ। রাস্তায় সেই দেহ পড়তে না পড়তেই তাকে চাপা দিয়ে গেল অন্য একটি গাড়ি। তারপর সারা রাত ধরে এতগুলি গাড়ি সেই দেহ চাপা দিয়ে গিয়েছে যে থেতলে গিয়ে তার মুখই চেনা দায়। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের চিনিয়ামপালয়ম এলাকার কাছে অবিনাশী রোড থেকে পুলিশ সেই দেহটি উদ্ধার করেছিল। তারপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যা দেখা গিয়েছে, তা ভয়ঙ্কর এবং খুবই রহস্যজনক।
ঘটনাটি ঘটে ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে। এক ব্যক্তি রাস্তার মাঝখানে ওই মৃতদেহটি পড়ে থাকার বিষয়ে খবর দিয়েছিল পুলিশকে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেছিল, গোটারাত ধরে গাড়ির চাকার ঘসটানিতে দেহটি সনাক্ত করাই প্রায় অসম্ভব। তার উপর মৃতা মহিলার গায়ে পোশাকও ছিল না বললেই চলে। এরপর ওই এলাকার এক দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে পরীক্ষা করে পুলিশ। তাতেই দেখা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫.৪৫ মিনিটে, একটি এসইউভি গাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তার পরপরই আরেকটি গাড়ি তার উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল।
"
ই ঘটনা নিয়ে দারুণ ধাধায় পড়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রথমত, সন্দেহ করা হচ্ছে মহিলাকে হত্যা করে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাকে জীবন্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, পরে গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয়ত, ওই মহিলার আগেই কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল, এবং ওই গাড়ির চাকার সঙ্গে লেগে সেটি অনেকটা দূরে চলে আসে এবং পরে ওই এলাকায় গাড়ি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতার বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তবে তার মুখ এবং মাথা গাড়ির চাপায় এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। মৃতদেহটি কোয়েম্বাটুর সরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকেও মৃত মহিলার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। মৃতদেহের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশও করা যাচ্ছে না, তার দেহের উপর দিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন চলে যাওয়ায় সেই তথ্য প্রকাশ করার সরকারি স্বীকৃতির নেই।