পুরভোটের আগে পুরুলিয়ায় জোর ধাক্কা খেল পদ্মশিবির। রঘুনাথপুর পুরসভায় দলের একমাত্র কাউন্সিলর যোগ দিলেন কংগ্রেসে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে 'উন্নয়নের শরিক' হতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একশোজন কর্মী-সমর্থকও।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল, পুরভোটের আগে কালিয়াগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী
পঞ্চায়েত ভোটের পর দল বদলে ফেলেছিলেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। 'যোগ্য সম্মান' না পেয়ে বছর দুয়েক পর ফের পুরনো দলেই ফিরলেন তিনি। তাঁর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিলেন দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি ও বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো। বিজেপি ছাড়লেন কেন? কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী সোজাসাপ্টা জবাব, মোদী সরকার এনআরসি লাগু করার পর সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। যা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। কাউন্সিলরের আরও বক্তব্য, তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পুরসভায় দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তাতে কর্ণপাত করেনি। এদিকে আবার রঘুনাথপুরেরই সাতুড়ি ব্লকে বিজেপি ছাড়লেন একশোজন কর্মী-সমর্থকও। তাঁরা সকলেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। নবাগতদের হাতে পতাকা তুলে দেন শাসকদলের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি।
আরও পড়ুন: বসন্তের শুরুতেই ফের বৃষ্টির আশঙ্কা, শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি-এর উত্থানের চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। পুরুলিয়াতেও বিপুল ভোটে জেতেন গেরুয়াশিবিরের প্রার্থী জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। পুরভোটেও কি সাফল্য আসবে? দিন কয়েক আগে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যান খোদ দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ মাহাতো। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি।