বড়দিন মানে অনেক আনন্দ, অনেক খুশি। সারা বিশ্বের মানুষজন এই দিনটিতে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকেন। কিন্তু যাদের মাথায় ছাদ নেই, সেইসব মানুষগুলোর কাছে বড়দিন বলে আলাদ করে কিছু নেই। দু'বেলা দুমুঠো অন্য জোগাড়ের সংস্থান না থাকা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কোনওরকম দিন গুজরান করা এই মানুষগুলোকে বড়দিনের আনন্দ দিতে উদ্যোগী হলেন কয়েকজন যুবক। ক্রিসমাসের রাতে তারাই সান্তা হয়ে উঠলেন ঠিকানাহানী মানুষগুলোর কাছে।
ওরা কেউ কলেজে পড়ছেন, কেউ বা কলেজ শেষ করে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এরকমি জনা আটেক বন্ধু ক্যানিং রেল স্টেশনে একত্রিত হন মঙ্গলবার রাতে। কনকনে ঠান্ডায় সেই সময় প্ল্যাটফর্মের এদিকে ওদিক গুটিশুটি মেরে শুয়ে ছিলেন কেয়কজন ভবঘুরে। হঠাৎ করে সেখানে হাজির হন যুবকরা। মাথায় তাদের সান্তাপ লাল টুপি, আর হাতে কম্বল ও কেকের প্যাকেট।
দেখুন ভিডিও: দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ, লম্বা লাইন ক্রিসমাস ইভ-এর বিশেষ প্রার্থনায়
প্যাটফর্মে আশ্রয় নেওয়া সেই সমস্ত ভবঘুরে মানুষদের একে একে ঘুম থেকে তুলে তাদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন চন্দন, অরিত্র, রাহুল, ফারুকরা। আচমকা আগুন্তকদের দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান প্ল্যাটফর্মে থাকা ভবঘুরে মানুষগুলো। কিন্তু তাদের থেকে শীতের রাতে কম্বল ও কেক পেয়ে দুহাত তুলে সকলকে আশীর্বাদ করেন ভবঘুরে মানুষগুলো।
দেখুন ভিডিও: ক্রিসমাসে সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা
এর আগে বড়দিন উপলক্ষে এভাবে তাদের কাছে আসেনি কেউ। পাননি কখনও হড়দিনের উপহারও। আসলে বড়দিন কাকে বলে, কী হয় এদিন, আর সান্তাই বা কে, এসম্বন্ধে কিছুই জানেন না এই আর্ত মানুষগুলি। তবে কনকনে ঠান্ডার রাতে কম্বল উপহার দেওয়া চন্দন, ফারুকরাই তাদের কাছ ঈশ্বর। তাই দুহাত ভরে চনন্দন, অরিত্রদের আশীর্বাদ করলেন লক্ষ্মী, মিনুরা। আর এইসব মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোঁটাতে পেরে ভীষণ খুশি এই উদ্যোমী যুবকের দল।
আগামীদিনেও এইভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান এই যুবকের দল। তেমনি সমাজের সকল স্তরের মানুষ যাতে অবহেলিত ও নিপীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ান তার আবেদন জানিয়েছেন চন্দন, অরিত্র, রাহুল, ফারুকরা।