ঘরে ফিরল যুবক, তেলেঙ্গানার পরিবারকে বড়দিনের উপহার দিল বাংলার পুলিশ

  • তেলেঙ্গানার যুবককে বাড়ি ফিরিয়ে দিল পুলিশ
  • পথ ভুলে সন্দেশখালি চলে এসেছিলেন যুবক
  • উদ্ধার করে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করে সন্দেশখালি থানা

debamoy ghosh | Published : Dec 25, 2019 6:49 AM IST

দশ মাস আগে নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল যুবক। হারানো ছেলের খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিল পরিবার। কিন্তু খোঁজ মেলেনি তাঁর। শেষ পর্যন্ত বড়দিনের আগে সেই হারানো ছেলেকে ফিরিয়ে দিল বাংলার পুলিশ। 

সন্দেশখালি থানা সূত্রে খবর, নিখোঁজ ওই যুবকের বাড়ি তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ থানার অম্বেদকর নগরে। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাকেশ নবধ নামে ওই যুবক। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজির পাশাপাশি ওই যুবকের খোঁজে পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তেলেঙ্গানার বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ যুবকের ছবিও পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। 

শেষ পর্যন্ত তেলেঙ্গানা থেকে হারিয়ে যাওয়া ওই যুবকের খোঁজ মিলল উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালির মণিপুর গ্রামে। কয়েকদিন ধরেই তাঁকে মণিপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ছাব্বিশ বছর বয়সি ওই যুবককে উদ্ধার করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক তেলুগু ভাষায় কথা বলায় প্রথমে তাঁর কথা কিছুই বুঝতে পারেননি পুলিশকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় কাজ করে আসা সন্দেশখালিরই কয়েকজন যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘদিন তেলেঙ্গানায় থাকায় তাঁরা তেলুগু ভাষা বোঝেন। ওই যুবকরাই রাকেশের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, তিনি তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। যদিও নিজের নাম, পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছুই বলতে পারেননি ওই যুবক। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত মানসিকভাবে সুস্থ নন রাকেশ।

এর পর সন্দেশখালি থানার পক্ষ থেকে তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পাঠানো হয় যুবকের ছবি। এর পরেই রাকেশের পরিচয় এবং তাঁর সম্পর্কে বিশদ তথ্য সন্দেশখালি থানার হাতে আসে।

মঙ্গলবার বিকেলে তেলেঙ্গানা পুলিশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাকেশের জামাইবাবু বিতে লভা এসে ওই যুবককে সন্দেশখালি থানা থেকে নিয়ে যান। হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে পেয়ে ভীষণই খুশি পরিবারের সদস্যরা। রাকেশের জামাইবাবু জানান, ছেলেকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করে নিয়েছেন, বড়দিনের সেরা উপহার পেলেন তাঁরা। এর জন্য সন্দেশখালি থানা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। 
 

Share this article
click me!